Bleeding in Pregnancy: গর্ভাবস্থায় হঠাৎ রক্তপাতের কারণ কী? এটা কি গর্ভপাতের লক্ষণ?

ডাক্তারদের মতে, গর্ভাবস্থা তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত। প্রথম ১২ সপ্তাহ গর্ভাবস্থার প্রথম পর্যায়ে, ১২ থেকে ২৬ সপ্তাহ গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় পর্যায়ে এবং ২৮ থেকে ৪০ সপ্তাহ গর্ভাবস্থার তৃতীয় পর্যায়ে বিভক্ত।

 

প্রত্যেক নারীই মা হতে চায়। মা হওয়া একজন নারীর সুন্দর স্বপ্ন। মহিলাদের প্রতি মাসে মাসিক হয়। প্রতি মাসে ঋতুস্রাব বন্ধ হলে তারা বুঝতে পারবে যে তারা গর্ভবতী। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের তাদের স্বাস্থ্যের প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে। অন্যথায় এটি শিশুর উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে। তাই তাদের সন্তানকে সুস্থ রাখতে নারীদের খাদ্যাভ্যাসের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে এবং কাজ করতে হবে।

গর্ভাবস্থার তিনটি পর্যায়

Latest Videos

ডাক্তারদের মতে, গর্ভাবস্থা তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত। প্রথম ১২ সপ্তাহ গর্ভাবস্থার প্রথম পর্যায়ে, ১২ থেকে ২৬ সপ্তাহ গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় পর্যায়ে এবং ২৮ থেকে ৪০ সপ্তাহ গর্ভাবস্থার তৃতীয় পর্যায়ে বিভক্ত।

যথেষ্ট বিশ্রাম

২০ থেকে ৩০ শতাংশ মহিলা প্রথম ৩ মাসে হালকা রক্তপাত অনুভব করেন। এর কারণ হ'ল প্রায় ৬-৭ সপ্তাহের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ভ্রূণ নিজেকে জরায়ুর সাথে সংযুক্ত করে। এর ফলে সামান্য রক্তপাত হতে পারে। একে 'ইন প্ল্যান্টেশন ব্লিডিং' বলা হয়। এতে কোনো ধরনের চিকিৎসা বা ওষুধের প্রয়োজন হয় না। এটি কিছুটা বিশ্রামের জন্য যথেষ্ট।

ভারী রক্তপাত

তবে কিছু মহিলার সামান্য ভারী রক্তপাত হতে পারে। একে বলা হয় 'থ্রেটেড মিস ক্যারেজ'। এর মানে হল গর্ভপাতের লক্ষণ আছে কিন্তু গর্ভপাত নয়। জরায়ুমুখ বন্ধ, শিশুর বৃদ্ধি স্বাভাবিক এবং শিশুর হৃদস্পন্দনও স্বাভাবিক। কিন্তু জরায়ুর ভেতরে অল্প পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়। একে 'সাবকোরিওনিক হেমোরেজ' বলে। এ সময় অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বেরিয়ে আসতে পারে।

গর্ভপাতের সম্ভাবনা 

কিছু লোকের মধ্যে এই রক্তপাত ভারী হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এর জন্য চিকিৎসকরা হরমোন ইনজেকশন বা ওষুধ দেন। এ ছাড়া শিশুর বিকাশ, হৃদস্পন্দন, জরায়ুর ভেতরে রক্তপাতের পরিমাণ স্ক্যান করে সে অনুযায়ী পরামর্শ দেওয়া হয়।

প্লাসেন্টার সমস্যা

এর পরে, দ্বিতীয় পর্যায়ে কিছু রক্তপাত হয়, যদিও এটি কম তীব্র হয়। এটি অতিরিক্ত হলে, এটি জরায়ু এবং প্লাসেন্টাতে একটি সমস্যা নির্দেশ করে। কারো কারো ক্ষেত্রে প্লাসেন্টা জরায়ুর মুখের কাছে অর্থাৎ নিচের দিকে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে অবশ্যই কিছু রক্তপাত হবে। এই বিষয়ে আপনার আরও উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। অন্যথায় গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে। তাই যতটা সম্ভব বিশ্রাম নেওয়া উচিত। আরও কঠিন কাজ পুনরাবৃত্তি করবেন না।

জরায়ু খোলা

প্রসবের তৃতীয় পর্যায়ে অর্থাৎ ৩৭ সপ্তাহ পরে রক্তপাত হতে পারে। এটি প্রসবের একটি লক্ষণ। জরায়ুর মুখ খোলার সাথে সাথে সামান্য রক্তপাত শুরু হয়। এ ছাড়া জরায়ুর মুখে কোনো মাংসের পিণ্ড থাকলে এ ধরনের রক্তপাত হয়।

এগুলো সবই গর্ভাবস্থায় রক্তপাতের মতো সমস্যা। তাই এ ধরনের কোনো ক্ষেত্রে রক্তপাত হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং যথাযথ চিকিৎসা ও পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!

Latest Videos

Suvendu Adhikari Live: বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে মহা মিছিল শুভেন্দুর, দেখুন সরাসরি
Suvendu Adhikari: 'তৃণমূল বাচ্চাদের ট্যাবও খেয়ে ফেলছে' চরম কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর
'ট্যাব কেলেঙ্কারিতে মমতা ও আইপ্যাক যুক্ত' বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দু অধিকারীর | Suvendu Adhikari
‘এবার সনাতনীদের এক হতে হবে’ হিন্দুদের উদ্দেশ্যে যা বললেন শুভেন্দু অধিকারী | Suvendu Adhikari
ক্যামেরা ছিনিয়ে সাংবাদিকের উপর তাণ্ডব! তীব্র বিক্ষোভ মুর্শিদাবাদের রানিতলায় | Murshidabad News Today