কালো জলের পিএইচ মাত্রা সাধারণ জলের চেয়ে বেশি, যা শরীরে অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে। অ্যাসিডিটি অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে, যেমন হজমের সমস্যা, ক্লান্তি এবং পেশী ব্যথা।
আজকাল আপনি অবশ্যই অনেক সেলিব্রিটি এবং ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের কালো জল পান করতে দেখেছেন। ব্ল্যাক ওয়াটার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও তুমুল আলোচনা হয়। কিন্তু প্রশ্ন জাগে সেলিব্রিটিরা কেন এই জল নিয়ে এত পাগল? এতে কি বিশেষ কিছু আছে যা সাধারণ জলে পাওয়া যায় না? আসুন জেনে নেই কালো জলের কিছু আশ্চর্যজনক উপকারিতা।
কালো জল কি?
কালো জল আসলে ক্ষারীয় জল। এর pH লেভেল ৮ এর উপরে, যেখানে স্বাভাবিক জলর pH লেভেল ৬ থেকে ৭-এর মধ্যে। ক্ষারীয় হওয়ার কারণে এর রং কালো দেখায়। এতে ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান পাওয়া যায় যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
কালো জল পানের উপকারিতা
অ্যাসিডিটি কমায়
কালো জলের পিএইচ মাত্রা সাধারণ জলের চেয়ে বেশি, যা শরীরে অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে। অ্যাসিডিটি অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে, যেমন হজমের সমস্যা, ক্লান্তি এবং পেশী ব্যথা।
হজম উন্নতি
কালো জল হজমের উন্নতিতে খুব সহায়ক। কালো জল পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি হজমকারী এনজাইমের উৎপাদন বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য ও অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা কমায়। ইমিউনিটি বুস্ট
কালো জলে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি শরীরকে ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। এই জল শরীরকে অনেক সংক্রমণ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
হাইড্রেট
কালো জল শরীরকে ভালো করে হাইড্রেট করে। এটি কোষকে পুষ্টি সরবরাহ করতে সাহায্য করে এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। শক্তি
শক্তি বাড়ায়
কালো জল পান করলে শরীরে শক্তির মাত্রা বাড়তে পারে। এটি ক্লান্তি ও দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে।
ত্বকের জন্য উপকারী
কালো জল ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে নরম ও উজ্জ্বল করে এবং ব্রণের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে। কালো জলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এই ফ্রি র্যাডিকেল ত্বকের ক্ষতি করতে পারে এবং অকাল বার্ধক্য ঘটাতে পারে।
হাড় মজবুত করে
কালো জল হাড় মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কালো জলতে ভালো পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত কালো জল পান করলে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমে যায়।