শীতকালে ত্বকের যত্ন সঙ্গে সর্দি-কাশির সমস্যা দূর করতে রইল বিশেষ ঘরোয়া টোটকা

Published : Nov 22, 2024, 09:40 PM IST
Winter Care

সংক্ষিপ্ত

শীতকালে ত্বক শুষ্ক হওয়া, সর্দি-কাশি এবং শরীর ব্যথা খুবই সাধারণ সমস্যা। গরম পানি পান করা, ত্বকে তেল মালিশ করা, ঘরে তৈরি লিপ বাম ব্যবহার, নিয়মিত ব্যায়াম, যোগব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত ঘুম শীতকালে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। 

শীতকাল মানেই শুষ্ক ত্বক এবং সর্দি-কাশির প্রকোপ। শীতকালে আরেকটি সাধারণ সমস্যা হল শরীর ব্যথা। চুলও শুষ্ক হয়ে যায়। সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরকে উষ্ণ রাখতে হবে। 

ত্বকের যত্ন 
শীতকালে শরীর ব্যথা এবং শুষ্কতা খুবই স্বাভাবিক। এর থেকে রক্ষা পেতে শীতকালে আমাদের জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। 

ঠান্ডায় জল খাওয়া অনেকেরই কষ্টকর। তবে, শরীরের জন্য জল প্রয়োজন। যতটা সম্ভব, বিশেষ করে গরম পানি পান করলে, শরীরের উপকার হয়। এতে ত্বক শুষ্ক হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যাও কমে যায়। 

স্নানের পর পরই বডি লোশন লাগান। নারকেল তেল, জলপাই তেল অথবা তিলের তেল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে খুবই উপকারী। ভিটামিন ই তেলও ত্বকে তেলের ভারসাম্য বজায় রাখে। 

ফাটা ঠোঁট
ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ঘরে তৈরি লিপ বাম ব্যবহার করুন। মোম দিয়ে তৈরি লিপ বাম ব্যবহার করলে ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় থাকে। ঠোঁট কালো হলে লাল করে। এটি শুধু ঠোঁটেই নয়, ফাটা পায়েও খুবই উপকারী। 

 প্রস্তুত প্রণালী: প্রথমে মোম আগুনে গরম করুন। তারপর এতে মাখন এবং নারকেল তেল যোগ করে ভালো করে গরম করুন। শক্ত হয়ে গেলে নামিয়ে রাখুন। এটি ঠোঁট এবং ফাটা পায়ে ব্যবহার করতে পারেন। 

সর্দি-কাশির চিকিৎসা
সর্দি-কাশি শীতকালের একটি বড় সমস্যা। এই শীতকালীন রোগের প্রতিকারে, গরম পানি পান করতে হবে। ইউক্যালিপটাস তেল বা বেলম ব্যবহার করতে হবে। হলুদ, আদা, চন্দন বাঁটে তুলায় লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। সর্দি হলে এটি পুড়িয়ে ধোঁয়া নাক দিয়ে টানলে সর্দি কমে যায়। ভেষজ চা এবং স্যুপের মতো গরম পানীয় পান করলেও সর্দি প্রতিরোধ করা যায়।

চুলের যত্ন
শীতকালে চুলও শুষ্ক হয়ে যায়। চুল ধোয়ার আগে রাতে মাথার ত্বকে কিছু তেল মালিশ করুন। চুলের আগা ফাটা রোধ করতে চুলের আগা পর্যন্ত তেল লাগান। শীতকালে আর্দ্রতা বজায় রাখতে কন্ডিশনারও সাহায্য করে। তাই, শীতকালে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। বেশি শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুল শুষ্ক হয়ে যায়, তাই ব্যবহার কমাতে হবে। 
 

ব্যায়ামের উপকারিতা
শীতকালীন স্বাস্থ্য টিপসের মধ্যে ব্যায়াম অন্যতম। এটি সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। গরমের তুলনায় শীতকালে ঘাম কম হয়। তবে ব্যায়াম করার সময়ও গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তাহে ৫ থেকে ৬ দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। ঠান্ডা আবহাওয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে ব্যায়াম সাহায্য করে। যোগব্যায়ামও শরীরকে উষ্ণ রাখে। ব্যায়াম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সর্দি-কাশির জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। সকালে রোদে বাইরে বের হন। এটি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি সরবরাহ করে। ব্যায়ামের পাশাপাশি শরীরের বিশ্রামও গুরুত্বপূর্ণ। শীতকালে ৮ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমান।

PREV
click me!

Recommended Stories

রাতে শুধু এক চামচ খেলেই হবে চমৎকার, ৮০ ধরনের বাত রোগ থেকে পাবে মুক্তি
২০২৫-এ সস্তা হল ক্যান্সার রোগের এই ওষুধগুলো, এক ক্লিকে জেনে নিন বিস্তারিত