সাইকেল চালানো সুস্থ থাকার সবচেয়ে ভালো উপায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সাইকেল চালিয়ে স্বাস্থ্য ঠিক রাখা যায়। আজ বিশ্ব সাইকেল দিবস উপলক্ষে আমরা আপনাদের জানাচ্ছি সাইকেল চালানোর কতগুলো উপকারিতা রয়েছে
নিজেকে সুস্থ রাখতে শারীরিক পরিশ্রম করা খুবই জরুরি। তবে এই ব্যস্ত জীবন যাত্রায় মানুষের শারীরিক পরিশ্রম অনেকটাই কমে গিয়েছে। এই কারণে মানুষ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। স্থূলতা নিয়ে সবাই সমস্যায় পড়েন, কিন্তু আপনি কি জানেন যে আপনি যদি একটু সময় নিয়ে প্রতিদিন সাইকেল চালান, তাহলে আপনি কতটা উপকৃত হতে পারেন।
হ্যাঁ, সাইকেল চালানো সুস্থ থাকার সবচেয়ে ভালো উপায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সাইকেল চালিয়ে স্বাস্থ্য ঠিক রাখা যায়। আজ বিশ্ব সাইকেল দিবস উপলক্ষে আমরা আপনাদের জানাচ্ছি সাইকেল চালানোর কতগুলো উপকারিতা রয়েছে।
ওজন কমানো-
সাইকেল একটি দারুণ ব্যায়াম। আপনি যদি জিমে গিয়ে ওজন কমাতে না চান, তাহলে সাইকেল চালিয়েও ওজন কমাতে পারেন। আপনি যদি প্রতিদিন ৩০ মিনিট বা তার বেশি সাইকেল চালান, তাহলে আপনার শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি কমতে শুরু করবে। বিশেষ করে পেট ও উরুতে এর প্রভাব পড়ে। কারণ এই ব্যায়ামে শরীরের সর্বোচ্চ নড়াচড়া হয়। আধা ঘন্টা সাইকেল চালিয়ে আপনি প্রায় ৩০০ কিলো ক্যালোরি পোড়াতে পারেন। আপনি একই এক ঘন্টা সাইকেল চালিয়ে ৫০০ কিলো ক্যালোরি পর্যন্ত বার্ন করতে পারেন।
হার্ট ও ফুসফুসের জন্য উপকারী-
সাইকেল চালানো একটি দুর্দান্ত কার্ডিও ওয়ার্ক আউট যা শরীরে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে আপনার হৃদয় এবং ফুসফুসের স্বাস্থ্যকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। আসলে, আপনি যখন সাইকেল চালান, এই সময়ে হার্টের হার অনেক বেড়ে যায়, যা হৃদয় আরও কার্যকরভাবে রক্ত পাম্প করে জানে। অন্যদিকে সাইকেল চালানো মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে।
পেশী শক্তিশালী হয়-
সাইক্লিং পেশী শক্তিশালী করে। আসলে আপনি যখন সাইকেল চালান, তখন পায়ের সাহায্যে পেডেলিং করা হয়। এই সময় পা উপরে থেকে নীচে একটি বৃত্তে কাজ করে। এতে পায়ের পেশি থেকে শুরু করে শরীরের নিচের ও উপরের অংশের পেশী শক্তিশালী হয়। এটি শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ায় এবং সামগ্রিকভাবে এটি স্বাস্থ্যের প্রচার করে।
মানসিক সাস্থ্য-
সাইকেল চালানো আপনার মানসিক স্বাস্থ্যও উন্নত করে। এটি হতাশা, উদ্বেগ এবং চাপ কমাতে সাহায্য করে। সাইকেল চালানোর সময় অ্যারোবিক্স ব্যায়াম কার্যক্রম করা হয়। এই কাজগুলো মানসিক অবস্থার পরিবর্তন করে মস্তিষ্কে রক্তের প্রভাবকে উন্নত করতে পারে, যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।