মা হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পাঁচটি গুণ সম্পর্কে জানুন।
একজন ভালো মা হওয়া একটি শিশুর ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিটি মহিলার জন্য ভালো মা হওয়া একটি কর্তব্যও বটে। একটি শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে মা-বাবা উভয়েরই সঠিক ব্যক্তি হওয়া প্রয়োজন। এ ব্যাপারে কোনও দ্বিমত নেই। এই লেখাটি কেবল একজন মায়ের গুণাবলী সম্পর্কে আলোচনা করে। এগুলি আসলে বাবার জন্যও প্রযোজ্য। আপনি যদি একজন আদর্শ মা হতে চান তবে আপনার মধ্যে কিছু গুণ থাকা জরুরি। এই পাঁচটি গুণ সম্পর্কে এই লেখাটিতে জানুন।
ধৈর্য্যশীলতা:
বাবা-মায়ের ধৈর্য্যশীল হওয়া জরুরি। বিশেষ করে শিশুর সাথে বেশি সময় কাটানোর জন্য মায়ের ধৈর্য্যশীল হওয়া শিশুর বিকাশের জন্য প্রয়োজন। শিশুদের তাদের ভুলগুলি দেখানোর জন্য এবং তাদের প্রশ্নের বারবার উত্তর দেওয়ার জন্য মায়ের ধৈর্য্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুরা সবসময় একগুঁয়ে হবে। বলা কথা শোনা তাদের অভিধানেই নেই। এই ধরনের পরিস্থিতিতে মায়ের ধৈর্য্যশীল হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
স্নেহ ও মমতা:
শিশুর মৌলিক চাহিদা হল স্নেহ ও মমতা। শিশুদের সুখী মানসিকতার জন্য এই দুটি গুণ একজন মায়ের মধ্যে থাকা জরুরি। এটিই তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। একজন ভালো মা স্নেহ ও মমতার সাথে শিশুকে লালন-পালন করেন।
জ্ঞান:
শিশুদের চাহিদা তাদের আচরণ দেখেই বুঝতে পারার জ্ঞান মায়ের থাকা উচিত। এই জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রতিটি মাকে শিশুদের বোঝার মতো বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করতে হবে। তাদের সমস্যাগুলি বুঝে সমাধান করা মায়ের দায়িত্ব।
ইতিবাচক চিন্তাভাবনা:
ইতিবাচক চিন্তাভাবনা সম্পন্ন মা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। প্রতিটি মায়ের ইতিবাচক চিন্তাভাবনা সম্পন্ন হওয়া জরুরি। শিশুদের মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা গড়ে তোলার জন্য এটি প্রয়োজনীয়। যতই খারাপ পরিস্থিতি হোক না কেন, হাল ছাড় না মানার গুণ শিশুরা মায়ের কাছ থেকে পায়।
আত্মত্যাগ:
শিশুর জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে মায়ের প্রস্তুত থাকা গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর চাহিদা পূরণের জন্য নিজের ১০০% শ্রম দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে। শিশুদের ভালো শিক্ষা দেওয়া বাবা-মায়ের কর্তব্য এটা মনে রাখতে হবে। ভালো মা হলেই ভালো শিশু গড়ে তোলা সম্ভব।