
রবিবার বিকেলে মুম্বাইয়ের এইচএন রিলায়েন্স হাসপাতালে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন আলিয়া ভাট। চলতি বছরেই বিয়ে করেছেন রণবীর কাপুর এবং আলিয়া ভাট। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই জীবনে নতুন অতিথি আসার খবরও দিয়েছিলেন তাঁরা। তারপর থেকেই নানা সময় নানা খবর উঠে এসেছে সংবাদ শিরোনামে। রবিবার সকালেই হাসপাতালেই ভর্তি করা হয় আলিয়া ভাটকে। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যমজ সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন আলিয়া ভাট। কিন্তু সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বেলা ১টা নাগাদ সুখবর দিলেন দুই পরিবার। কন্যা সন্তানের জন্ম দেন অভিনেত্রী। নতুন বাবা-মা হিসাবে প্রসবের এক ঘন্টা পরে নতুন মা আলিয়া ভাট ইনস্টাগ্রামে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন। রণবীরের মা নীতু কাপুর ইতিমধ্যেই হাসপাতালে এসে দেখা করেন নাতনির সঙ্গে।
যে কোনও পরিবারেই একটি সদ্যোজাত নতুন ভোর নিয়ে আসে। নতুন বাবা মা হওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করা যায় না। তবে এই মরসুম বদলের সময় সদ্যোজাতের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। জন্মের প্রথম কয়েক মাসে শিশু যে যত্নের প্রয়োজন, তা পরবর্তীকালে তার শারীরিক গঠনের সুস্থ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই এই সময়ে খুব সচেতনভাবে সদ্যোজাতের খেয়াল রাখতে হয় বাবা মাকে।
স্বাস্থ সচেতনতা
শিশুর শরীরের খেয়াল রাখতে মাসে অন্তত একবার শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। এতে শিশুর যত্নে আর কি কি দরকার, তা তিনি বলে দিতে পারবেন। শিশুকে তাই সুস্থ রাখতে চাইলে বারবার চিকিৎসকের কাছে যান। সদ্যোজাতের বৃদ্ধি, ওজন বা শারীরিক গঠনে কোনও সমস্যা রয়েছে কীনা, তা একজন বিশেষজ্ঞই ভালো বলতে পারবেন।
খাওয়ানো
নতুন বাবা মাকে মনে রাখতে হবে দুধ খাওয়ানোর কথা। ঘুমন্ত অবস্থায় থাকলে সদ্যজাত শিশু জাগিয়ে দুধ খাওয়াবেন। এছাড়া দুধ খাওয়ানোর সময় সদ্যজাত শিশুর মাথা শরীরে থেকে একটু উচুতে রাখবেন। তাহলে দুধ সোজা সদ্যজাত শিশুর পেটে যাবে এবং তারাতাড়ি হজম করতে সহায়তা করে। বিছানায় শুয়ে শুয়ে কখনও সদ্যজাত শিশু দুধ খাওয়াবেন না। এবং প্রত্যেকবার সদ্যজাত শিশু দুধ খাওয়ানোর পর অবশ্যই ঢেকুর উঠাবেন এতেও তাড়াতাড়ি হজমের সহায়তা করে।
প্রথমত বাচ্চাকে সময়মতো দুধ খাওয়ান। যদি আপনি চান আপনার শিশু সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে গড়ে উঠুক তাহলে প্রতি ২-৩ ঘন্টা অন্তর অন্তর সদ্যজাত শিশুকে এক বার দুধ খাওয়ান। সাধারণত তিন মাস বয়স পর্যন্ত সদ্যজাত শিশু অন্তত ১৮-২০ ঘন্টা ঘুমিয়ে থাকে। অনেকসময় দুধ না খেয়ে সদ্যজাত শিশু ঘুমাতে থাকে।
ঘুম
প্রতিটি শিশুরই আলাদা আলাদা ঘুমের চক্র রয়েছে। নবজাতকদের প্রথম দুই মাসে দিনে প্রায় ১৬ ঘণ্টা ঘুমানোর প্রয়োজন পড়ে। তারা সাধারণত ২-৪ ঘণ্টা টানা ঘুমায় এবং ক্ষুধার্ত হলে বা প্রস্রাব করে ফেললে জেগে ওঠে। যেহেতু শিশুকে প্রতি ৩ ঘণ্টা পরপর খাওয়ানো দরকার, তাই আপনার তাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে খাওয়ানোর প্রয়োজন হতে পারে।
স্নান করানো
নবজাতকদের অতিরিক্ত স্নান করানো একেবারেই উচিত নয়। নবজাতকদের সপ্তাহে ২-৩ বার স্নান করানোই যথেষ্ট। স্নান করানোর সময়, মাইল্ড সাবান বা বডি ওয়াশ এবং ঈষদুষ্ণ জল, নরম তোয়ালে ব্যবহার করুন। স্নান করানোর পর বেবি কেয়ার ক্রিম কিংবা লোশন অবশ্যই ব্যবহার করুন।
শীতকালে বাইরে যেতে হলে সঠিক ও উপযুক্ত পোশাক নির্বাচন করুন। শিশুকে টুপি, মোজা, মিটেনস পরান, এমনকি রাতেও এই পোশাকেই রাখুন। তবে শীত থেকে বাঁচাতে গিয়ে অতিরিক্ত জামা কাপড় পরিয়ে ফেলবেন না। এর ফলে হিতে বিপরীত হতে পারে। ঘরের তাপমাত্রা অনুযায়ী পোশাক পরানো উচিত। আবার এমন কিছু পরিয়ে ফেলবেন না, যা শিশুর হাঁটাচলাকে আটকে দেয় বা যা পরে তারা হাত পা ছুঁড়ে খেলতে না-পারে।
আরও পড়ুন
ডেঙ্গু ছাড়াও এসব রোগে প্লেটলেট কমে যায়, ভুলেও এগুলিকে অবহেলা করবেন না
ওজন কমাতে খান পাতিলেবুর খোসা, রইল মেদ ঝড়ানোর বিশেষ টোটকার হদিশ, দেখে নিন এক ঝলকে
শীতের মরশুমে খাদ্যতালিকায় যোগ করুন এই ছয় সবজি, দূর হবে যাবতীয় জটিলতা