Parenting Tips: কীভাবে আপনি আপনার শিশুর বায়না সামলাবেন, ট্যানট্রাম সামলানোর সহজ উপায়

শিশুদের ক্ষেপে যাওযার সময় একটি ইতিবাচক মানসিকতা বজায় রাখা। আপনার বাচ্চার যখন তীব্র আবেগে জড়িয়ে পড়ে তখন অভিভূত হওযা বা হতাশ হওয়া স্বাভাবিক।

 

একজন অভিভআবক হওয়া কিন্তু অত্যান্ত কঠিন কাজ। অনেক সময়ই আপনার শিশুর ট্যানট্রাম টেমিং। শিশুর ১২ মাস থেকে ১৫ মাস পর্যন্ত এই ট্যানট্রামিং দেখা যায়। চার বছর পর তা ধীরে ধীরে কমে যায়। অনেক অভিভাবকের এই বয়ঃসন্ধির শিশুদের সামলাতে রক্তচাপ বেড়ে যায়। অনেক সময় শিশুদের বায়নাক্কা বাবামায়ের হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে এর থেকে মুক্তি পাওয়ার বেশ কয়েকটি সহজ উপায় রয়েছে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ আবার বলেছেন, শিশুদের ট্যানট্রাম শুরু হয়ে ২-৩ বছর বয়স থেকে। এই ফ্রেজটি চলে ৫ থেকে ৬ বছর পর্যন্ত।

শিশুদের ট্যানট্রম মোকাবিলার কৌশল-

Latest Videos

১. শিশুদের ক্ষেপে যাওযার সময় একটি ইতিবাচক মানসিকতা বজায় রাখা। আপনার বাচ্চার যখন তীব্র আবেগে জড়িয়ে পড়ে তখন অভিভূত হওযা বা হতাশ হওয়া স্বাভাবিক। অস্থিরতার কতগুলি কারণ হল-

ট্যানট্রামকে স্বাভাবিক করা। শিশুদের বিকাশের একটি অংশ। অভিভাবকদের দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে। এই ট্যানট্রামের মাধ্যমেই শিশুরা নিজেদের আবেগ প্রকাশ করে। ট্যানট্রামের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে চায় শিশুরা। কারণ ছোট শিশুরা তাদের অনুভূতিগুলি মৌখিকভাবে প্রকাশ করতে পারে না। তাই তারা কার্যকর যোগাযোগ ও মানসিক ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভর করে। এটি শিশুদের একটি কৌশল। অনেক সময়ে শিশুরা ট্যানট্রামিং এর মাধ্যমে নিজের ক্রোধ প্রকাশ করে। তাই এই পরিস্থিতি বাবা-মাকেই সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে।

২. উত্তেজনা এড়িয়ে চলতে হবে শিশুদের সামলানোর সময়। শিশুরা যখন অত্যান্ত উত্তেজিত হয়ে যায় তখন তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়। প্রয়োজনে তাদের একটি বায়না না মেটানোর জন্য তাদের অন্য কোনও প্রিয় জিনিসের কথা বলতে হয় বা দেখাতে হয়। প্রয়োজনে উত্তেজিত বা কাঁদছে এমন শিশুদের কোলে নিয়ে প্রচুর আদার করুন। তবে সন্তানকে কখনই প্রলোভন দেখাবেন না। তাতে আদতে সন্তানের ক্ষতি হয়।

৩.ক্ষোভের কমাতে শিশুদের সঙ্গে কথা বলুন। সে কিন্তু অনেক সময় আপনার কথা বুঝতে পারবে না। বলতেও পারবে না। কিন্তু পাল্টা প্রতিউত্তর দেবে তার মত করে। এইভাবে কথাবার্তা চালিয়ে গেলে শিশুদের শান্ত করা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।

৪. শিশুদের বায়না যখন প্রবল বাড়তে থাকে তখন একটা নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে থামতে হয় বাবা ও মাকে। শিশুকেও স্পষ্ট করে না বলার প্রয়োজন রয়েছে। তাহলে শিশুর প্রত্যাশা আকাশ ছোঁবে না।

৫. শিশুর সঙ্গে আপনি যখন সময় কাটাবেন তখন আপনাকেও ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে হবে।

Share this article
click me!

Latest Videos

মাননীয়া জঙ্গিদের ঢুকতে দিচ্ছেন, কিন্তু চাকরি দিচ্ছেন না, শিল্প আনছেন না : Suvendu Adhikari
'জঙ্গিরা ধরা তো পড়ছে, তাহলে আর চিন্তার কি আছে?' হাসতে হাসতে উত্তর রচনার | Rachna Banerjee News
মমতা হারবে, DA ন্যায্য অধিকার, জয় আপনাদের দোরগোড়ায়, ঐক্যবদ্ধ থাকুন : শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
'তৃণমূলের দুয়ারে সরকার এখন দুয়ারে জঙ্গি', তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর | Suvendu Adhikari
Suvendu Adhikari Live : নবান্নের সামনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধর্না অবস্থান মঞ্চে শুভেন্দু