
ভালো অভিভাবক হওয়ার ৬ টি লক্ষণ : সন্তান লালন-পালন করা অভিভাবকদের জন্য একটি বিরাট দায়িত্ব। সব পরিস্থিতিতেই সন্তান যদি আপনার কাছে আসতে পারে, তাহলে নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো সম্পর্ক। তবে এরও কিছু সীমারেখা আছে। এই লেখায় ভালো অভিভাবকদের ৬ টি গুণ সম্পর্কে জানবো।
মন খুলে কথা বলা!
সন্তান যদি কোন ভয় ছাড়াই অভিভাবকের সাথে মন খুলে কথা বলতে পারে, তাহলে এটি একটি ভালো লক্ষণ। অভিভাবক যখন প্রশ্ন করেন বা কথা বলতে শুরু করেন, তখন সন্তান যদি মন খুলে সত্যি কথা বলে, তাহলে অভিভাবক হিসেবে আপনি সঠিক পথেই আছেন।
সাধারণত সন্তান যখন তাদের স্বপ্ন, ভয়, বিশ্বাস ইত্যাদি সম্পর্কে খোলাখুলি কথা বলে, তখন তারা মানসিকভাবে অভিভাবকের কাছে নিরাপদ বোধ করে। এটি অভিভাবক এবং সন্তানের মধ্যে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
আনন্দ:
ঘরে যতই সমস্যা বা দুঃখ থাকুক না কেন, তার মাঝেও কিছুটা আনন্দ থাকা উচিত। কঠিন দিনগুলিতেও হাসিমুখে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারা অভিভাবকেরা সন্তানদের নিরাপদ বোধ করতে সাহায্য করেন। এটি একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। শুধু দুঃখ নয়, আনন্দও জরুরি।
ভুলের স্বীকারোক্তি:
সন্তান যেন তাদের ভুল নিয়ে লজ্জা বা ভয় না পেয়ে কথা বলতে পারে, সেই পরিবেশ অভিভাবকদের তৈরি করে দিতে হবে। অভিভাবকদেরও নিজেদের ভুল স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
সন্তান যদি অভিভাবকের কাছে এসে নিজের ভুল স্বীকার করে, তাহলে এটি তাদের মানসিক বুদ্ধিমত্তার পরিচয় বহন করে। এটি প্রমাণ করে যে সন্তানেরা আপনার কাছে নিরাপদ বোধ করে। তারা বুঝতে পারে যে তাদের ভুল ধরা পড়বে এবং সংশোধন করা হবে। শুধুমাত্র বাধ্যতা নয়, দায়িত্ববোধও শেখানো জরুরি।
ক্ষমা চাওয়া জরুরি!
ক্ষমা দুই দিক থেকেই আসা উচিত। সন্তান যেমন ক্ষমা চায়, তেমনি অভিভাবকদেরও নিজেদের ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করা উচিত। অভিভাবকদের শক্তিশালী এবং সঠিক হওয়া জরুরি, কিন্তু ক্ষমা চাইতে দ্বিধা করা উচিত নয়। এটি সন্তানদের শেখায় যে সম্মান একতরফা নয়। সন্তানেরাও স্নেহ এবং দয়া দেখাবে।
তুলনা করা:
নম্বর, চেহারা, প্রতিভা ইত্যাদি কোন বিষয়েই যদি আপনি আপনার সন্তানকে অন্যদের সাথে তুলনা না করেন, তাহলে আপনি সঠিক পথেই আছেন। প্রতিটি শিশুর বিকাশ আলাদা। তাদের ভালোভাবে বেড়ে উঠতে অন্যদের সাথে তুলনা করা উচিত নয়।
ভালোবাসা:
শুধুমাত্র কঠোর হওয়া সঠিক পন্থা নয়। ছোটখাটো ভুলের জন্য অভিভাবক হিসেবে আপনাকে কঠোর হতে হবে।
কিন্তু তারপর যদি সন্তান আপনার কাছে এসে কথা বলার চেষ্টা করে, তাহলে তাকে বাধা দেবেন না। এটি সন্তানের আত্মসম্মান বৃদ্ধি করবে।