গভীর ঘুমের মধ্যেও কি নিয়মিত এই সমস্যা হচ্ছে, জটিল রোগে আক্রান্ত হলেন কিনা বুঝবেন কীভাবে

স্বপ্নদোষের সমস্যায় হামেশাই ভুগে থাকেন পুরুষরা। ঘন ঘন স্বপ্নদোষ অনেকেরই হয়ে থাকে। পুরুষদের স্বপ্নদোষের কারণ হল হরমোন। বয়ঃসন্ধির সময়কালে শরীরের মধ্যে নানারকমের পরিবর্তন ঘটে, দেখা যায় হরমোনের ভারসাম্যহীনতা। আর তখনই স্বপ্নদোষ দেখা দেয়।

Web Desk - ANB | Published : Dec 13, 2022 12:07 PM IST

ঘন ঘন স্বপ্নদোষ হচ্ছে। সমাজের একটা প্রচলিত অংশের ধারণা রয়েছে যে স্বপ্নদোষের ফলে শরীর ভেঙে যায় এবং যার ফলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এই ঘটনায় বিচলিত হওয়ার মতো কিছু নেই। গভীর ঘুমের মধ্যে এই স্বপ্নদোষে আপনা-আপনি বীর্যস্খলন হয়ে যায়। এই নিয়ে অনেকেরই ভুলভাল ধারণা রয়েছে, যার কোনও যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি নেই। স্বপ্নদোষ নিয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা, জেনে নিন বিস্তারিত।

স্বপ্নদোষের সমস্যায় হামেশাই ভুগে থাকেন পুরুষরা। ঘন ঘন স্বপ্নদোষ অনেকেরই হয়ে থাকে। পুরুষদের স্বপ্নদোষের কারণ হল হরমোন।  বয়ঃসন্ধির সময়কালে শরীরের মধ্যে নানারকমের পরিবর্তন ঘটে, দেখা যায় হরমোনের ভারসাম্যহীনতা। আর তখনই স্বপ্নদোষ দেখা দেয়। চিকিৎসকেরা বিষয়টিকে স্বাভাবিক ভাবেই নিতে বলেছেন। বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, যারা অতিরিক্ত পরিমাণে হস্তমৈথুন করেন তাদের ক্ষেত্রে স্বপ্নদোষ বেশি হয়। সুতরাং হস্তমৈথুন কম করলে শরীর শান্ত থাকবে এবং বীর্যস্খলন কম হবে।

 

 

বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, ঘুমের মধ্যে যৌন উদ্দীপক স্বপ্ন দেখলেও এই সমস্যা হয়। আসলে পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন নিঃসৃত বেশি হলেও এই সমস্যা হয়। পুরুষদের স্বপ্নদোষের সমস্যা হয়েই থাকে। কারোর কারোর ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা একটু বেশি আবার কারোর ক্ষেত্রে ২ থেকে ৩ বার স্বপ্নদোষ হতে পারে।তবে শুধু পুরুষই নয়, মহিলাদেরও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে অতিরিক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সাধারণত ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েদের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রাথমিক বছরগুলোতে স্বপ্নদোষ হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।তবে বয়ঃসন্ধিকালের পরে যেকোনো সময় স্বপ্নদোষ হতে পারে। এটার সাথে যৌন উত্তেজক স্বপ্নের সম্পর্ক থাকতে পারে, আবার নাও পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, স্বপ্নদোষ একেবারেই স্বাভবিক এবং শারীরবৃত্তীয় কারণে সংগঠিত একটি শারীরিক প্রক্রিয়া মাত্র। যে কোনও বয়সে এটি ঘটতে পারে, এবং ছেলে ও মেয়ে উভয়েরই হতে পারে। সুতরাং এই নিয়ে এত ভয় পাবার মতো কোনো কারন নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুমাতে যাবার আগে প্রস্রাব করে তারপরই ঘুমোতে যাবেন।। যদিও এটি স্বপ্নদোষের চিকিৎসা নয় কিন্তু এটি স্বপ্নদোষের চাপ কমাতে শরীরকে অনেকটাই সাহায্য করে। এবং এটি করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। স্বপ্নদোষের সমস্যায় অশ্বগন্ধা দারুণ কাজ করে। যৌন স্বাস্থ্যে এবং হরমোন ব্যালেন্স এবং হস্তমৈথুনের ফলে দুর্বল হয়ে যাওয়া পেশীশক্তি ফিরে পাওয়া ও ভিতরের ইনজুরি সারিয়ে তুলতে পারে। তাই যারা স্বপ্নদোষের সমস্যায় নিয়মিত ভুগছেন তারা এটা ট্রাই করতে পারেন।

 

Share this article
click me!