যৌন মিলনের ফলে শারীরিক সুখের তৃপ্তি উপভোগ করেন সকলেই। কিন্তু, মনের দিক থেকেও ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে চরম যৌন সুখ। এর নেপথ্যে রয়েছে কতগুলি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
উদ্দাম সেক্স বাড়িয়ে তোলে শরীরের ডোপামিন । এই ডোপামিন হল শরীরের আনন্দের হরমোন। এটি আনন্দ পাওয়ার অনুভূতিকে শক্তিশালী করে।
শরীরের প্রেমের হরমোন হল, অক্সিটোসিন। শারীরিক স্পর্শের সময় নিঃসৃত হয় এই হরমোন। স্নেহপূর্ণ স্পর্শ, গর্ভাবস্থা বা বুকের দুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি যৌন মিলনের সময়েও নিঃসৃত হয় অক্সিটোসিন।
যৌন মিলনের শারীরিক ঘনিষ্ঠতা, প্রচণ্ড উত্তেজনা শরীরে অক্সিটোসিন সরবরাহ করে। এই হরমোন ব্যথা উপশম করতে পারে। তার পাশাপাশি ব্যাপকভাবে মানসিক চাপ কমায়, রুক্ষ মেজাজকে সুন্দর করে তোলে।
শরীরের একটি প্রয়োজনীয় নিউরোট্রান্সমিটার হল এন্ডোরফিন, যেটি হরমোন নয়। তবে এই এন্ডোরফিন-ও যৌন ক্রিয়াকলাপের সময় নির্গত হয়। অক্সিটোসিনের মতোই এটি চাপ উপশম করতে এবং মেজাজ উন্নত করে তোলে।
অ্যাড্রেনালিন এবং কর্টিসল, এই দুটি শরীরের "স্ট্রেস হরমোন" নামে পরিচিত। যৌন মিলনের ফলে, এই দুই হরমোনের ক্ষরণ কম থাকে। এর দরুন, মনের দিক থেকে মিলনকারীরা চাপমুক্ত থাকেন।
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে COVID-19 মহামারী চলাকালীন বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ নিজেকে যৌন সুখ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন উপায় খুঁজে বের করেছেন। একাকীত্ব কাটানোর জন্য একক যৌনতার পরিমাণ বেড়েছিল, যা মানসিক চাপ কমাতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছে।
যৌনতা মানবদেহের শরীর এবং মস্তিষ্কের ভেতর ইতিবাচক বিভ্রান্তি হিসাবে কাজ করে বলে দেখা গেছে। শারীরিক মিলন চাপযুক্ত চিন্তাভাবনাগুলি ভুলিয়ে দেয়। মেজাজ উন্নত করার দরুন যেকোনও ব্যক্তির মধ্যে স্ফূর্তি আনে।
বিবাহিত দম্পতিদের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, যৌন মিলন করার পরের দিন কর্মক্ষেত্রে প্রত্যেকেই দারুণ এনার্জি নিয়ে কাজ করতে পেরেছেন।