
সারাটা দিন কাটে সংসারের (Housework) কাজ করে। বরের অফিস (Office) আর বাচ্চার স্কুল (School) দুটো নিয়েই চিন্তা। ভোর ছটা বাজতে না বাজতেই ঘুম ভাঙে। তারপর শুরু হয় কাজ। ঘুম থেকে উঠে চিন্তা কী রান্না হবে। বরের অফিস যাওয়ার আগে সব খাবার বানিয়ে ফেলা, সঙ্গে টিফিন তৈরি। এরপর ছেলের স্কুলের টিফিন (Tiffin)। তাকে ঘুম থেকে তুলে তৈরি করে স্কুলে পাঠানো বেশ ঝক্কির। এই সব মেটার পর বাড়ির কাজ। তারপর দুপুরে একটু বিশ্রাম নিয়েই দৌড়াতে হয়। ছেলেকে স্কুল থেকে এনে তাকে তৈরি করে সাঁতার (Swimming) ক্লাসে নিয়ে যাওয়া, পড়াতে (Tuition) নিয়ে যাওয়া। এককথায়, এক ঘেঁয়ে জীবন। প্রতিদিনই হয়তো ভাবেন ফিট থাকা জন্য কিছু করবেন। কিন্তু হয়ে উঠে না। তবে, জানেন কি এই সংসারের কাজই আপনাকে ফিট রাখছে।
সম্প্রতি, একটি গবেষণায় (Research) চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে। সেখানে বলা হয়েছে, গৃহবধূদের তীক্ষ্ম বুদ্ধি, মনোযোগ (Concentration) আর পায়ের শক্তি অন্যান্যদের তুলনায় বেশি। ওপেন অ্যাক্সেল জার্নল বিএমজে ওপেন-এ প্রকাশিত হয়েছে এমন তথ্য। জানা গিয়েছে, তাঁদের মৃত্যুর ঝুঁকিও কম হয়। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের জন্য তারা সুস্থ (Fit) থাকেন। থাকেন রোগ মুক্ত।
আরও পড়ুন: Health Tips : শরীরকে উষ্ণ রাখতে প্রতিদিন খান এই ৫ খাবার,কতটা পরিমাণে খাবেন জেনে নিন
আরও পড়ুন: viral video: বব-কাট চুল আঁচড়ে দিচ্ছে মাহুত, পা মুড়ে বসে সাহায্য হাতির
২০১৬ সালে একটি গবেষণা করে এক বেসরকারি সংস্থা। ২১ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে গবেষণা করা হয়। সেখান থেকে জানা যায়, গৃহবধূদের (housewife) তীক্ষ্ম বুদ্ধি, মনোযোগ আর পায়ের শক্তি (Feet Strength) অন্যান্যদের তুলনায় বেশি। আসলে, গৃহবধূরা সারাদিন সংসারের কাজে ব্যস্ত থাকেন। রান্না করা, বাড়ি পরিষ্কার করা, জামা-কাপড় কাচা থেকে বাচ্চাকে নিয়ে টিউশনে যাওয়া। এই সকল কাজে শারীরিক পরিশ্রম করতে হয়। সঙ্গে সব চলতে হয় বুদ্ধি করে। সংসারের কাজে পুরোটাই টাইম ম্যানেজমেন্টের (Time Management) ওপর নির্ভর করে। একদিকে বুদ্ধি অন্যদিকে শারীরিক পরিশ্রম। প্রতিনিয়ত গৃহবধূরা যেমন শারীরিক পরিশ্রম করছেন, তেমনই বুদ্ধি প্রয়োগ করছেন। এই সবের জন্য তাঁদের তীক্ষ্ম বুদ্ধি হয়। সব কাজে মনোযোগ দিতে পারে। সঙ্গে পায়ের শক্তি বাড়ে। ডাক্তারি পরামর্শ অনুসারে, যে কোনও রোগ থেকে মুক্তি মেলে শরীরচর্চার (Exercise) মাধ্যমে। গৃহবধূরা আলাদা করে শরীরচর্চা না করলেও তাদের সংসারে খাটুনি শরীরচর্চার কাজ করে দেয়। ফলে, বজায় থাকে তাদের শারীরিক সুস্থতা।