মধ্যপ্রদেশের তামিয়া, মাণ্ডু, অমরকন্টক, শিবপুরী এবং পঞ্চমঢ়ী হিল স্টেশনগুলি শীতকালীন ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং শান্ত পরিবেশ আপনার মন জয় করে নেবে।
নভেম্বর মাস শেষ হতে চলেছে। বেশিরভাগ রাজ্যেই শীত নেমে এসেছে। কাশ্মীর থেকে শুরু করে হিমাচল পর্যন্ত পর্যটকদের ভিড় লেগেছে। এমন অবস্থায় আপনি যদি ভ্রমণ করতে চান কিন্তু ভিড় পছন্দ না করেন তবে এই পাহাড়ি এলাকাগুলি ছেড়ে মধ্যপ্রদেশ ভ্রমণ করতে পারেন। আজ আমরা আপনাদের এমপির বিখ্যাত হিল স্টেশনগুলি সম্পর্কে বলব, যেগুলি অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত কিন্তু অত্যন্ত সুন্দর। শুধু তাই নয়, এখানে আপনি শীত-গ্রীষ্ম সব ঋতুতে আসতে পারেন। ঐতিহাসিক স্থান থেকে শুরু করে এখানে জলপ্রপাত, জাদুঘর এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। তাহলে জেনে নিন সেই স্থানগুলি সম্পর্কে-
তালিকায় প্রথমেই তামিয়া হিল স্টেশনের নাম। এটি তার সরলতার জন্য পরিচিত। এই স্থানটি সাতপুরা জাতীয় উদ্যানের কাছে অবস্থিত। নাগপুর থেকে এর দূরত্ব ২০৮ কিলোমিটার। আপনি যদি প্রকৃতিপ্রেমী হন তবে অবশ্যই এখানে আসবেন। এখানে অনেক দুর্গ এবং ব্রিটিশ আমলের গির্জা রয়েছে। এখানে পৌঁছানোর জন্য আপনাকে নাগপুর পর্যন্ত বিমানে যেতে হবে। নিকটতম রেল স্টেশনটিও নাগপুর।
মাণ্ডু মধ্যপ্রদেশের একটি প্রাচীন হিল স্টেশন। আপনি যদি আধ্যাত্মিকতা এবং ইতিহাসে আগ্রহী হন তবে এখানে আসতে পারেন। নর্মদা নদীর তীর থেকে উপত্যকা এবং জঙ্গলের অসাধারণ দৃশ্য দেখা যায়। এখানে আপনি ক্যাম্পিংও করতে পারেন, তবে এর জন্য প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন।
অমরকন্টককে 'তীর্থরাজ' বা তীর্থস্থানগুলির রাজাও বলা হয়। এই হিল স্টেশনটির জব্বলপুর থেকে দূরত্ব ২০০ কিমি। আপনি যদি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে চান তবে এখানে আসতে পারেন। অমরকন্টক তার ধর্মীয় গুরুত্বের জন্য পরিচিত। এখান থেকে মধ্যপ্রদেশের তিনটি প্রধান নদী নর্মদা, সোন এবং জোহিলা প্রবাহিত হয়।
শিবপুরী হিল স্টেশন একটি শান্ত এবং সুন্দর জায়গা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ১,৫৩৫ ফুট। শিবপুরী আসলে জাধব সাগর হ্রদ এবং চাঁদপাঠা হ্রদ ভ্রমণ করতে পারেন। এই হিল স্টেশনটি গোয়ালিয়র থেকে তিন ঘন্টার দূরত্বে অবস্থিত। সঙ্গীর সাথে সুন্দর সময় কাটাতে চাইলে সপ্তাহান্তে শিবপুরী যেতে পারেন।
পঞ্চমঢ়ীকে 'সাতপুরার রাণী' বলা হয়। এটি হোশঙ্গাবাদ জেলায় অবস্থিত। এখানকার পান্ডব গুহা এবং রাজেন্দ্রগিরি সূর্যাস্ত দর্শনীয় স্থান। ২০০৯ সালে ইউনেস্কো পঞ্চমঢ়ীকে বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ ঘোষণা করে। আপনি এখানে আসলে দুই দিন সময় নিয়ে আসবেন। পঞ্চমঢ়ীর আশেপাশে অনেক জলপ্রপাত রয়েছে যেগুলি ভ্রমণ করা যেতে পারে।