অনেক সময় অবসেসিভ লাভ ডিসঅর্ডার (Obsessive Love Disorder) থেকে ওভার পজেসিভ নেচার দেখা দেয়। জেনে নিন আপনি অবসেসিভ লাভ ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত কি না।
রিয়া-আর্যর প্রেম কলেজ থেকে। কলেজ টাইমে (College Time) চুটিয়ে প্রেম করেছে। সিনেমা দেখতে যাওয়া, পার্কে ঘুরতে যাওয়া থেকে বন্ধুদের (Friends) সঙ্গে আড্ডা। সব সময় এক সঙ্গে দেখা যেত এই জুটিকে। দুজন কলেজের লাভ বার্ড ছিল। তারপর একজন চাকরিতে (Job) মন দিন অন্যজন উচ্চ শিক্ষায়। দুজনের জীবন এখন আলাদা ছন্দে চলছে, তাই তেমন দেখা হয় না। হয়তো এই কারণেই রোজ একের পর এক অশান্তি লেগে আছে। ফোন করলেই ঝগড়া হয়। সারাক্ষণ রিয়া সন্দেহ (Jealousy) করে। সব ব্যাপারে প্রশ্ন করে। কারণ লাগে না ঝগড়ার। বার বার ব্রেকআপ (Breakup) করবে ভাবে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব ঠিক করে নেয়। এমন অবস্থা অনেকের সম্পর্কেই দেখা যায়। অনেক সময় অবসেসিভ লাভ ডিসঅর্ডার (Obsessive Love Disorder) থেকে এমন হয়। আজকাল অনেকেই এই ডিসঅর্ডারে ভুগছেন। জেনে নিন আপনি অবসেসিভ লাভ ডিসঅর্ডারে ভুগছে কি না, তা বুঝবেন কী করে।
প্রেমের ক্ষেত্রে পজেসিভ (Positive) শব্দটা বেশ প্রযোজ্য। সম্পর্কের (Relation) শুরুর দিকে প্রেমিকের এই পজেসিভ নেচার (Nature) ভালো লাগে ঠিকই। কিন্তু, পরে এটাই অসহ্য হয়ে ওঠে। অবসেসিভ লাভ ডিসঅর্ডার থেকে এমন আচরণ দেখা যায়। প্রেমিক কিংবা প্রেমিকাকে নিয়ে পজেসিভ হওয়া ভালো, কিন্তু অধিক হওয়া মোটেই ভালো নয়। তাই প্রেমিক বা প্রেমিকার মধ্যে এমন আচরণ দেখলে প্রথম থেকেই তার সীমারেখা বুঝিয়ে দিন। আবেগে গা ভাসালে পরে সমস্যায় পড়তে পারেন।
অনেক প্রেমিক বা প্রেমিকাই আছে যে পার্টনারকে (Partner) সারাক্ষণ মেসেজ করে। কী করছে, কোথায় গিয়েছে, কেন গিয়েছে, কী খাচ্ছে, কী পোশাক পরেছে -সব প্রসঙ্গে জানতে চায়। এই জানার আগ্রহ অধিক হলে অন্যজন বিরক্ত বোঝ করবে এটাই স্বাভাবিক। সারাক্ষণ মেসেজ (Messaging) করার স্বভাব থাকলে তা পরিবর্তন করুন। এই সমস্যা বড় আকার নিলে পরে বিপদে পড়তে পারেন। অবসেসিভ লাভ ডিসঅর্ডার (Obsessive Love Disorder) থেকে এমন মেসেজিং-এর অভ্যেস তৈরি হয়। এমনকী, সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চাওয়ার অভ্যেসও এই কারণেই দেখা যায়।
আরও পড়ুন: Way to Forget Ex: ব্রেকআপের পর দিশেহারা লাগা স্বাভাবিক, জেনে নিন নিজেকে সামলাবেন কী করে
জীবনে একজন এল মানে সেই গোটা দুনিয়া হয়ে গেল। সারাক্ষণ তার সঙ্গেই সময় কাটাচ্ছে, তার কথাই ভাবছে। এই অভ্যেস অতিরিক্ত হওয়ার অর্থ আপনি অবসেসিভ লাভ ডিসঅর্ডারে (Obsessive Love Disorder) ভুগছেন। জীবনে কেউ বেশি গুরুত্ব পেতেই পারে, তাই বলে সেই গোটা জীবন হল এমনটা সম্ভব নয়। তাই সতর্ক হন। সমস্যা বড় আকার নেওয়ার আগে নিজেকে বদলান। প্রয়োজনে ডাক্তারি পরামর্শ নিন।