New Year 2024: বাস্তুর নিয়ম অনুসারে সাজিয়ে তুলুন ঠাকুরঘর, জাীবনে আসবে সুখ ও সমৃদ্ধির ছোঁয়া

ছোটখাটো সমস্যা কাটিয়ে সংসার সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে তুলতে মেনে চলা উচিত ঠাকুর ঘরের কিছু নিয়ম। ঠাকুর ঘর সংক্রান্ত এই নিয়মগুলি মেনে চললে কাটিয়ে উঠতে পারবেন এই সমস্যাগুলি।

 

deblina dey | Published : Dec 9, 2023 11:42 AM IST

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আর্থিক কোনও সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও অযাচিত কিছু সমস্যায় অনেকেই বার বার জড়িয়ে পরেন। যার ফলে দুর্বিসহ হয়ে ওঠে জীবন যাপন। তাই সেই সকল ছোটখাটো সমস্যা কাটিয়ে সংসার সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে তুলতে মেনে চলা উচিত ঠাকুর ঘরের কিছু নিয়ম। ঠাকুর ঘর সংক্রান্ত এই নিয়মগুলি মেনে চললে কাটিয়ে উঠতে পারবেন এই সমস্যাগুলি।

বাড়ির ঠাকুর ঘরে কিছুটা সময় যাতে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ ঠাকুর ঘরে পর্যাপ্ত পরিমানে সূর্যের আলো ও বাতাস প্রবেশ করলে বাড়ির প্রচুর দোষ কেটে যায় বলে মনে করা হয়। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় ঠাকুর ঘরে ধূপ ও ধূনো জ্বালতে হবে। পুজোর শেষে ঘন্টা বাজান। কারণ ঘন্টার শব্দে ঘরের নেগেটিভ শক্তি দূর হয়ে যায়।

পুজো দেওয়ার সময় সব সময় টাটকা ফুল ও ফলের ব্যবহার করুন। শাস্ত্র মতে, গঙ্গাজল ও তুলসী পাতা পবিত্র বলে সেগুলি অনেক দিন যাবৎ অবধি পুজোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে শুকনো তুলসী পাতা কখনোই ব্যবহার করা উচিৎ নয়। পুজোর ঘর সব সময় পশ্চিম মুখে রাখা উচিত। আর পুজোর ঘরের দরজা পূর্ব দিকে হওয়া উচিৎ। তবে সব থেকে ভালো ফল লাভ করা সম্ভব।

সন্ধ্যার পুজো হয়ে যাওয়ার পর পরিস্কার কাপড়ে ঠাকুরের স্থান আবৃত করে রাখুন। আর যদি ঠাকুরের ঘর আলাদা থাকে তবে সেই ঘরে অবশ্যই পর্দা দিয়ে ঢেকে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। বাড়িতে গণেশ মূর্তি রাখলে তা অবশ্যই বিজোড় সংখ্যায় না রেখে জোড় সংখ্যায় রাখার চেষ্টা করুন।

বাড়িতে যদি শিবলিঙ্গ স্থাপন করা থাকে তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে তা যেন শুকিয়ে না যায়। ক্রমাগত শিবলিঙ্গে জল পড়ছে এমন অবস্থায় রাখতে হবে। শুকিয়ে থাকা শিব লিঙ্গ অশুভ লক্ষণ এতে সংসারে অমঙ্গল দেখা দেয়। তবে বাড়িতে শিবলিঙ্গ থাকা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। ঠাকুর ঘরে কোনও চামড়ার তৈরি জিনিস রাখা বা নেওয়া একেবারেই উচিৎ নয় বলে মনে করেন অনেকে। তাই যদি এমন কোনও দ্রব্য থেকে থাকে যেগুলি চামড়া দিয়ে তৈরি সেগুলি অন্য ঘরে রাখার ব্যবস্থা করুন।

Share this article
click me!