'মা তোর কত রঙ্গ দেখব বল!' জানেন কী এই মা কালীর কত রূপে পুজো করা হয়

তন্ত্র পুরাণে দেবী কালীর একাধিক রূপভেদের উল্লেখ পাওয়া যায়। দক্ষিণকালী থেকে শুরু করে সিদ্ধকালী, ভদ্রকালী, গুহ্যকালী - নানা রূপে ধরা দেন আদ্যাশক্তি। এই লেখায় জানুন কালীর বিভিন্ন রূপের রহস্যময় গল্প।
deblina dey | Published : Oct 20, 2024 8:28 AM IST
120

'কালো রূপে মুণ্ডমালিনী এলোকেশী শক্তিরূপিণী মহামায়া আদ্যাশক্তি চতুর্ভুজা জগৎজননী' - এক মায়ের কত রূপ। তন্ত্র পুরাণে দেবী কালীর একাধিক রূপভেদের উল্লেখ পাওয়া যায়।

220

শাস্ত্র মতে, কালী আট প্রকার। দক্ষিণকালিকা, সিদ্ধকালিকা, গুহ্যকালিকা, শ্রীকালিকা, ভদ্রকালী, চামুণ্ডাকালিকা, শ্মশানকালিকা ও মহাকালী।

320

আবার মহাকাল সংহিতার মতে, নয় প্রকার কালীর উল্লেখ পাওয়া যায়। দক্ষিণাকালী, ভদ্রকালী, শ্মশানকালী, কালকালী, গুহ্যকালী, কামকলাকালী, ধণকালিকা, সিদ্ধিকালী, সিদ্ধিকালী, চণ্ডিকালিকা। 

420

অভিনব গুপ্তের তন্ত্রালোক ও তন্ত্রসার গ্রন্থদ্বয়ে কালীর ১৩টি রূপের উল্লেখ আছে। 

520

যেমন- সৃষ্টিকালী, স্থিতিকালী, সংহারকালী, রক্তকালী, যমকালী, মৃত্যুকালী, রুদ্রকালী, পরমার্ককালী, মার্তণ্ডকালী, কালাগ্নিরুদ্রকালী, মহাকালী, মহাভৈরবঘোর ও চণ্ডকালী।

620

তবে জয়দ্রথ যামল গ্রন্থে কালীর যে রূপগুলির নাম পাওয়া যায়, সেগুলি হল: ডম্বরকালী, রক্ষাকালী, ইন্দীবরকালিকা, ধনদকালিকা, রমণীকালিকা, ঈশানকালিকা, জীবকালী, বীর্যকালী, প্রজ্ঞাকালী ও সপ্তার্নকালী।

720

দক্ষিণ দিকের অধিপতি যম যে কালীর ভয়ে পলায়ন করেন, তার নাম দক্ষিণাকালী। দক্ষিণাকালীর কালীর সর্বাপেক্ষা প্রসিদ্ধ মূর্তি। 

820

প্রচলিত ভাষায় শ্যামাকালী নামে আখ্যাতা। দক্ষিণাকালী করালবদনা, ঘোরা, মুক্তকেশী, চতুর্ভূজা এবং মুণ্ডমালাবিভূষিতা। 

920

তার বামহাতে সদ্যছিন্ন নরমুণ্ড ও খড়্গ, দক্ষিণকরযুগলে বর ও অভয় মুদ্রা। তার গাত্রবর্ণ মহামেঘের ন্যায়, তিনি দিগম্বরী।

1020

তার গলায় মুণ্ডমালার হার, কর্ণে দুই ভয়ানক শবরূপী কর্ণাবতংস, কটিদেশে নরহস্তের কটিবাস। ত্রিনয়নী এবং মহাদেব শিবের বুকে দণ্ডায়মান।

1120

গুহ্যকালী: গুহ্যকালী সাধকদের আরাধ্য। তার রূপকল্প ভয়ংকর। গুহ্যকালীর গাত্রবর্ণ গাঢ় মেঘের ন্যায়, তিনি লোলজিহ্বা ও দ্বিভূজা, গলায় পঞ্চাশটি নরমুণ্ডের মালা।

1220

কটিতে ক্ষুদ্র কৃষ্ণবস্ত্র, স্কন্ধে নাগযজ্ঞোপবীত, মস্তকে জটা ও অর্ধচন্দ্র, কর্ণে শবদেহরূপী অলংকার, হাস্যযুক্তা, চতুর্দিকে নাগফণা দ্বারা বেষ্টিতা ও নাগাসনে উপবিষ্টা।

1320

বামকঙ্কণে তক্ষক সর্পরাজ ও দক্ষিণকঙ্কণে অনন্ত নাগরাজ, বামে বৎসরূপী শিব, তিনি নব রত্ন ভূষিতা। তিনি অট্টহাস্যকারিণী, মহাভীমা ও সাধকের অভিষ্ট ফলপ্রদায়িনী। গুহ্যকালী নিয়মিত শবমাংস ভক্ষণে অভ্যস্তা।

1420

সিদ্ধকালী: সিদ্ধকালী কালীর একটি অখ্যাত রূপ। গৃহস্থের বাড়িতে সিদ্ধকালীর পুজো হয় না, তিনি মূলত সিদ্ধ সাধকদের ধ্যান আরাধ্যা। কালীতন্ত্র-এ তাকে দ্বিভূজা রূপে কল্পনা করা হয়েছে। 

1520

অন্যত্র তিনি ব্রহ্মরূপা ভুবনেশ্বরী। তার মূর্তিটি নিম্নরূপ। দক্ষিণহস্তে ধৃত খড়্গের আঘাতে চন্দ্রমণ্ডল থেকে নিঃসৃত অমৃত রসে প্লাবিত হয়ে বামহস্তে ধৃত একটি কপালপাত্রে সেই অমৃত ধারণ করে পরমানন্দে পানরতা। 

1620

তিনি সালংকারা। তার বামপদ শিবের বুকে ও বামপদ শিবের উরুদ্বয়ের মধ্যস্থলে সংস্থাপিত।

1720

ভদ্রকালী: ভদ্রকালী নামের অর্থ যিনি মরণকালে জীবের মঙ্গল বিধান করেন, তিনিই ভদ্রকালী। 

1820

ভদ্রকালী নামটি অবশ্য শাস্ত্রে দুর্গা ও সরস্বতী দেবীর অপর নাম রূপেও ব্যবহৃত হয়েছে। 

1920

কালিকাপুরাণ মতে, ভদ্রকালীর গাত্রবর্ণ অতসীপুষ্পের ন্যায়, মাথায় জটাজুট, ললাটে অর্ধচন্দ্র ও গলদেশে কণ্ঠহার। 

2020

তন্ত্রমতে অবশ্য তিনি মসীর ন্যায় কৃষ্ণবর্ণা, কোটরাক্ষী, সর্বদা ক্ষুধিতা, মুক্তকেশী; তিনি জগৎকে গ্রাস করছেন, তার হাতে জ্বলন্ত অগ্নিশিখা ও পাশযুগ্ম।

Read more Photos on
Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos