কালীপুজোর আগের দিন পালন করা হয় ভূত চতুর্দশী। ছোটবেলা থেকে এই নামটা শুনে এলেও কেন এরকম নামে ডাকা হয় এই দিনটিকে, অনেকেই জানি না আমরা।
সামনেই আলোর উৎসব। আতশবাজি আর আলোর মালায় সেজে ওঠার উৎসব। শ্যামা মায়ের আরাধনায় মেতে ওঠার উৎসব। সামনেই কালীপুজো। এই কালীপুজোর আগের দিন পালন করা হয় ভূত চতুর্দশী। ছোটবেলা থেকে এই নামটা শুনে এলেও কেন এরকম নামে ডাকা হয় এই দিনটিকে, অনেকেই জানি না আমরা। আরও দুটি প্রথা এই দিন আমরা মেনে চলি, তা হল চোদ্দ রকমের শাক খাওয়া ও ১৪ টি প্রদীপ বাড়ির কোণায় কোণায় জ্বালানো। এই নিয়মই বা কেন। আজ চলুন এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক।
কেন জ্বালানো হয় ১৪ বাতি?
হ্যালোউইন নয়, আমাদের নিজস্ব ভূত চতুর্দশী। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে যুগ ধরে চলে আসা লোকাচার। পুরাণ মতে ভূত চতুর্দশীর রাতে শিবভক্ত বলি, মর্ত্যে আসেন পুজো নিতে। সঙ্গে আসেন তাঁর অনুচর ভূতেরা। চতুর্দশী তিথির ভরা অমাবস্যায় চারিদিক ঘুটঘুটে অন্ধকার থাকে। সেই ঘন অন্ধকারে যাতে বলি রাজার অনুচরেরা বাড়িতে ঢুকে না পড়েন, তার ব্যবস্থাই করা হত প্রাচীন কালে। আবার অনেকে বলেন স্বর্গত ১৪ পুরুষের আত্মার শান্তি কামনায় দেওয়া হয় ১৪ বাতি।
কেন খাওয়া হয় ১৪ শাক?
কালীপুজোর সঙ্গে চোদ্দো শাকের সম্পর্ক নিয়ে কোন সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। তবে সমাজবিজ্ঞানীদের মতে এই প্রথার সঙ্গে শস্যদায়িনী দেবী ভাবনার যোগাযোগ রয়েছে। আবার ভেষজবিজ্ঞানীদের মতে ঋতু পরিবর্তনের সময়ে বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসাবে এই শাকগুলি খাওয়া হত। আয়ুর্বেদ মতে প্রাচীন বাংলায় চোদ্দো শাকগুলি ছিল পালং শাক, লাল শাক, সুশনি শাক, পাট শাক, ধনে শাক, পুঁই শাক, কুমড়ো শাক, গিমে শাক, মূলো শাক, কলমি শাক, সরষে শাক, নোটে শাক, মেথি শাক, লাউ শাক অথবা হিঞ্চে শাক। এই ১৪ শাক একসঙ্গে ভেজে ভাতে মেখে খাওয়া হয়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন নীচের লিংকে