কলি যুগে কী রূপে আসবেন ভগবান বিষ্ণুর দমশ অবতার? কীভাবে বিনাশ করবেন পাপের

Published : Feb 22, 2024, 04:48 PM IST

ভগবান বিষ্ণ, প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী তিনি এই বিশ্বের লালনকর্তা। গীতাতেই তিনি বলেছেন, ধর্ম স্থাপনের জন্য তিনি বারবার জন্মগ্রহণ করেন। 

PREV
111
কৃষ্ণের মর্তে আগমণ

কখনও তিনি নিজেই মানবরূপে অবতরণ করেন। কখনও অবতারের রূপ ধারন করেন। পুরাণ অমুযায়ী ভগবান বিষ্ণু ১০টি রূপ ধারন করে মর্তলোকে অবতীর্ণ হয়েছে। কলি যুগ অর্থাৎ এই যুগেও তিনি মর্তে আসবেন পাপের বিনাশ করতে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে তিনি কী রূপে মর্তে আসবেন?

211
মৎস অবতার

পুরাণ অনুযায়ী বহু বছর আগে সত্যব্রত নামে এক রাজা ছিলেন। তার রাজত্বকালে অন্যায় বাড়ছিল। সেই সময়ই মৎসরূপ নিয়ে ভগবান বিষ্ণু মর্তে আসেন। রাজাকে বলেন প্রলয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে বিশ্ব। আর সেই কারণে একটি স্বর্ণতরীতে সবরকম জীব দম্পতি, খাদ্য, শস্য, বৃক্ষবীজ নিয়ে তাতে চড়তে হবে। সেই সময় ভগবান বিষ্ণু শৃঙ্গধারী মৎস্যরূপে আভির্ভূত হন।

311
কুর্ম অবতার

ভগবান বিষ্ণুর দ্বিতীয় অবতার। দেবতা ও অসুরদের যুদ্ধ হয়। তাতে দেবতারা পরাজিত হয়। কিন্তু ভগবান ব্রহ্মা বিষ্ণুর কাছে পরামর্শ নিতে আসেন। তখনই ভগবান বিষ্ণু সমুদ্রমন্থনের পরামর্শ দেয়। তাতে অমৃত উঠবে , তা পান করে দেবতারা অমর হয়ে যাবে বলেও জানিয়ে দেয়। এই মন্থনের সময়ই কুর্ম অবতার অর্থাৎ কচ্ছপের রূপ ধারন করে মন্দার পর্বতের নিচে অবস্থান করেন। সেই কুর্ম অবতারের পিঠের ওপরই মন্দার পর্বত দাঁড় করিয়ে রেখে মন্থন করা হয়।

411
বরাহ অবতার

ভগবান বিষ্ণুর তৃতীয় অবতার । বরাহরূপে আর্বিভূত হয় হিরণ্যক্ষ নামের এক মহাশক্তিশালী অসুরের হাত থেকে বিশ্বকে রক্ষা করেছিলেন।

511
নৃসিংহ অবতার

হিরণ্যকশিপুর ভাই হিরণ্যক্ষকে বধ করেছিলেন। তাতে হিরণ্যকিশিপুর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তিনি বিষ্ণু বিরোধী হয়ে ওঠেন। অন্যদিকে তাঁর পুত্র প্রহ্লাদ ছিলেন বিষ্ণু ভক্ত। হিরণ্যকশিপুর ক্ষুদ্ধ হয়ে নিজের পুত্রকেই হত্যার ছক কষেন। কিন্তু বিষ্ণু বেই সময় নৃসিংহ অবতারের রূপ ধারন করে প্রহ্লাদকে রক্ষা করেন। তার বাবাকে হত্যা করেন।

611
বামন অবতার

ত্রেতাযুগে আবির্ভাব হয় বিষ্ণুর পঞ্চম অবতারের। দেবতা অসুর যুদ্ধের দেবতারা স্বর্গরাজ্য হারিয়ে বিপদে পড়ে। সেইসময় অসুর বলিকে হত্যা করার জন্য বিষ্ণু বামন অবতার রূপে মর্তে আসেন। বলির কাছে তিনটি পা রাখার জন্য জমি চাইলে অসুর তা দিতে রাজি হয়ে যায়। সেই সময় বামন অবতাররূপে স্বর্গ ও মর্তে দুটি পা রাখেন। কিন্তু তৃতীয় পা রাখার জায়গা না থাকায় বলির মাথায় রাখেন। তখনই অসুরকে পাতালে পৌঁছে দেন কৃষ্ণ।

711
পরশুরাম অবতার

ত্রেতা যুগে ভগবান বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতারের জন্ম হয়। কার্তবীর্য নামের অত্যাচারী রাজার হাত থেকে রক্ষা করার জন্যই জন্মগ্রহণ করেন। পাশাপাশি পিতৃহত্যারও প্রতিশোধ নেন।

811
রাম অবতার

সপ্তম অবতার হল শ্রীরামচন্দ্র। অত্যাচারী রাবণের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যই তিনি মর্তে আসেন।

911
বলরাম অবতার

ভগবত গীতা অনুসারে বিষ্ণুর অষ্টম অবতার হল বলরাম। মহভারত কথা অনুযায়ী তিনি শ্রীকৃষ্ণের দাদা। আর পুরাণ অনুযায়ী কৃষ্ণ স্বয়ং সেই সময় আবির্ভূত হয়েছিল মর্তে।

1011
বুদ্ধ অবতার

ভগবান বিষ্ণুর নবম অবতার হল ব গৌতম বুদ্ধ। হিংসা , দ্বেষ দূর করতেই সেই সময় তিনি আবির্ভূত হয়েছিলেন মর্তে।

1111
১০ম অবতার কল্কি

কলিকালে ভগবান বিষ্ণু কাল্কি অবতার হিসেবে মর্তে আবির্ভূত হবেন। তাঁর বাহন হবে সাদা ঘোড়া। নাম দেবদত্ত। তিনি ঘোড়ার পিঠে চেপে খোলা তরবারি দিয়ে পাপের বিনাশ করবেন।

click me!

Recommended Stories