প্রায়শই মন্দির বা বাড়িতে আরতি করার পরে জল ভর্তি শঙ্খের মধ্যে জল ছিটিয়ে দেওয়া হয়। তবে আজ আমরা এর কারণ এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি।
মন্দিরে বা বাড়িতে ভগবানের পূজা এবং আরতির জন্য অনেক নিয়ম তৈরি করা হয়েছে এবং সেগুলি আমরা সবাই মেনে চলি। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই নিয়মগুলি মেনে চললে ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে।
আরতি বা আচমনের পরে চারিদিকে জল ছিটিয়ে দেওয়া হয় এমন একটি নিয়ম। এই সময় অনেক জিনিস ব্যবহার করা হয় যেমন আচমনি, শঙ্খ ইত্যাদি যাতে আপনি আরতির চারপাশে জল ছিটিয়ে দেন।
আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন যে প্রায়শই মন্দির বা বাড়িতে আরতি করার পরে জল ভর্তি শঙ্খের মধ্যে জল ছিটিয়ে দেওয়া হয়। তবে আজ আমরা এর কারণ এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি।
জল ভগবান বরুণের সাথে সম্পর্কিত
জল ভগবান বরুণের রূপে পূজা করা হয় এবং পুরাণে উল্লেখ করা হয়েছে যে জল যখন কোনও বস্তুকে রক্ষা করে, তখন এটি ভগবান বরুণের আশীর্বাদপ্রাপ্ত হয়। তাই যখন ভগবানের দিব্য রূপের আরতির প্রদক্ষিণ সম্পন্ন হয়, তখন তার শিখা আরও বেশি দিব্য হয়ে ওঠে। এই আরতির আলোর পবিত্রতা বজায় রাখতে জল দিয়ে আচমন করা হয়।
পূজায়, বরুণ দেবের প্রতীক জল আরতির চারপাশে শঙ্খ বা আচমনি দিয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয় এবং চারদিকে প্রদক্ষিণ করা হয়। এটি জ্যোতিষশাস্ত্রে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
আরতি শেষ হওয়ার পরে, ভক্তরা তাদের উভয় হাত আরতি শিখার উপর কয়েক সেকেন্ডের জন্য সরান এবং তারপরে তাদের মাথায় রাখেন। যেহেতু আগুনের শিখা অত্যন্ত পবিত্র বলে বিবেচিত হয়, তাই মন্দিরের পুরোহিতরা আরতি করার পরে এই জল মানুষের উপর ছিটিয়ে দেন।
আরতির সময় শাঁখ থেকে জল ছিটিয়ে দেওয়ার উপকারিতা
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ অনুসারে, একটি শঙ্খের খোলায় জল ভরে, তাতে চন্দনের পেস্ট লাগালে এবং আরতির থালার চারপাশে জল ছিটিয়ে দিলে পরিবেশ পবিত্র ও পবিত্র থাকে। এই কারণেই পূজার স্থানে একটি শঙ্খ বা জল ভর্তি তামার পাত্র রাখা হয় এবং আরতির পরে তার উপর ধূপকাঠি ছিটিয়ে দেওয়া হয়। এতে করে ঘরের নেতিবাচক শক্তিও চলে যায় এবং ঘরে পজিটিভ শক্তি বাস করে।
আরতি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
শাস্ত্রে বলা আছে যে কোনো পূজার পর আরতি না করলে সেই পূজা অসম্পূর্ণ বলে গণ্য হয়। পূজার শেষে আরতি করলেই ফল পাওয়া যায়।
আরতির মাধ্যমে আমরা আমাদের বাড়ি এবং পরিবারের সুরক্ষার জন্য প্রার্থনা করি এবং এটি ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সর্বোত্তম উপায় হিসাবে বিবেচিত হয়। আরতি সবসময় কর্পূর দিয়ে করা হয় এবং ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘোরানোর মাধ্যমে করা হয়।