সচিন তেন্ডুলকরের কেরিয়ারে অন্যতম সেরা ইনিংস শারজায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে 'মরুঝড়'| বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কেরিয়ারের শততম ও শেষ শতরান সচিনের, ২০১০ সালে ওডিআই ম্যাচে প্রথম দ্বিশতরান সচিনের |
প্রায় আড়াই দশকের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে অসংখ্য স্মরণীয় ইনিংস খেলেছেন সচিন তেন্ডুলকর। তাঁর সেরা ইনিংস বেছে নেওয়া কঠিন। পরিবেশ-পরিস্থিতির বিচারে প্রতিটি ইনিংসই গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৯৮ সালে শারজায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পরপর ২ ম্যাচে অসাধারণ শতরান, যা 'মরুঝড়' হিসেবে পরিচিত, ২০০৩ বিশ্বকাপে সেঞ্চুরিয়নে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৯৮, ১৯৯৯ সালে চেন্নাই টেস্ট ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অসাধারণ শতরান অন্যতম স্মরণীয়। এছাড়া আরও অনেক ইনিংস আছে যেগুলি ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের ৪ বছরেরও বেশি সময় পরে ১৯৯৪ সালে ওডিআই ম্যাচে প্রথম শতরান করেন সচিন। শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে ১১০ রান করেন মাস্টার ব্লাস্টার। ১৯৯৬ সালে ভারতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১১৪ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন সচিন। ১৯৯৮ সালে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১২৮ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন সচিন। এই ম্যাচেই তিনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে ওপোনিং জুটিতে ২৫২ রান যোগ করেন, যা সেই সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রেকর্ড ছিল। ১৯৯৯ সালে হায়দরাবাদে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৮৬ রান করে অপরাজিত থাকেন সচিন। সেই ম্যাচে তিনি রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে ৩৩১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। এই রেকর্ড ১৫ বছর অক্ষত ছিল। ২০১০ সালে ওডিআই ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম দ্বিশতরান করেন সচিন। গোয়ালিয়রে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১৪৭ বলে ২০০ রান করে অপরাজিত থাকেন সচিন। এর আগে ওডিআই ফর্ম্যাটে সর্বাধিক রান ছিল ১৯৪, যা করেছিলেন সইদ আনোয়ার ও চার্লস কভেন্ট্রি। সেই রেকর্ড ভেঙে দেন সচিন।
সচিনের এমন কয়েকটি অসাধারণ ইনিংস রয়েছে, যে ম্যাচগুলিতে ভারতীয় দল হেরে গিয়েছে। তেমনই একটি ইনিংস ১৯৯২ সালে পারথে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পঞ্চম টেস্ট ম্যাচে। সেই ইনিংসে ১১৪ রান করেন সচিন। সেই ম্যাচে ৩০০ রানে হেরে যায় ভারত। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে ওয়াংখেড়েতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৯০ রান করেন সচিন। সেই ম্যাচেও হেরে যায় ভারত। সেই বিশ্বকাপেই গ্রুপ লিগ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১৩৭ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন সচিন। ১৯৯৭ সালে ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে কেপ টাউন টেস্ট ম্যাচে ১৬৯ রানের অসামান্য ইনিংস খেলেন মাস্টার ব্লাস্টার। ২০০৪ সালে পাকিস্তান সফরে রাওয়ালপিণ্ডিতে দ্বিতীয় ওডিআই ম্যাচে ১৪১ রান করেন সচিন। কিন্তু তারপরেও জয় পায়নি ভারত। ২০০৯ সালে হায়দরাবাদে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পঞ্চম ওডিআই ম্যাচে ৩৫১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৭৫ রান করেন সচিন। কিন্তু তারপরেও ৩ রানে হেরে যায় ভারত। ২০১১ বিশ্বকাপে নাগপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১১১ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন সচিন। ২০১২ সালের এশিয়া কাপে মীরপুরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১১৪ রান করেন সচিন। এটাই তাঁর কেরিয়ারের শততম ও শেষ শতরান।