ব্যক্তিগত কাজে কলকাতায় এসেছিলেন রোহিত শর্মার কোচ দীনেশ লাড। শোভাবাজারে আত্মীয়র বাড়িতে ঘরোয়া আড্ডার পরিবেশেই এশিয়ানেট নিউজ বাংলার মুখোমুখি হলেন দ্রোণাচার্য পুরস্কার জেতা কোচ।
রোহিত শর্মা, শার্দুল ঠাকুর, হরমিত সিংয়ের মতো ক্রিকেটারকে বড় ক্রিকেটার হয়ে উঠতে সাহায্য করেছেন। এখনও তরুণ ক্রিকেটারদের সাহায্য করে চলেছেন। কোচিংয়ে দেশের সেরা সম্মান দ্রোণাচার্য সম্মান পেয়েছেন। বড় ক্রিকেটার হয়ে উঠতে গেলে তরুণদের কী করতে হবে? এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে দীনেশ লাড জনাালেন, ‘উঠতি ক্রিকেটারদের আমি বলতে চাই, তোমরা ক্রিকেটে মন দাও। ক্রিকেটের জন্য সময় দাও। আমি সবাইকে বলতে চাই, মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকো। কারণ, মোবাইল ফোন খুব খারাপ জিনিস। মোবাইল ফোন অন্যদিকে মন নিয়ে চলে যায়। অনেক কিশোর-তরুণই মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। গত বছর আমি যখন মুম্বইয়ের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ ছিলাম, তখন প্রায় ৯ মাস দলের ক্রিকেটারকে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে দিইনি। কয়েকজনের তো ২-৩ দিন ঘুমই হয়নি। কিন্তু এর ফলে আমাদের লাভ হয়েছিল। আমরা বিনু মাঁকড় ট্রফির ফাইনালে পৌঁছে যাই, কোচবিহার কাপের ফাইনালে পৌঁছে যাই।’
'ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেয় মোবাইল ফোন'
দীনেশ আরও বলেছেন, ‘তরুণরা মোবাইল ফোন থেকে যত দূরে থাকবে, ওদের ভবিষ্যতের জন্য ততই ভালো হবে। কারণ, কেরিয়ার গড়ার সেরা সময় ১৬ থেকে ১৯ বছর বয়স। সেই সময় মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকলে, স্ক্রিন টাইম ২-৩ ঘণ্টা হলে, ভবিষ্যৎ নষ্ট হবে। ওই ২-৩ ঘণ্টা ক্রিকেটের জন্য দিলে ওদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারবে। রাহুল দ্রাবিড়কে অনুসরণ করা উচিত বাচ্চাদের।’
রমাকান্ত আচরেকরের ছাত্র দীনেশ
সচিন তেন্ডুলকরের গুরু রমাকান্ত আচরেকরের কাছে ক্রিকেটের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন দীনেশ। সেই ঘরানা মেনেই ক্রিকেট খেলার পক্ষপাতী তিনি। তরুণ ক্রিকেটারদের ব্যাকরণ মেনে ক্রিকেট খেলার পরামর্শ দেন দীনেশ।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
'ড্রেসিংরুমে আলোচনা শুনেছি,' অলিম্পিক্সে ক্রিকেট নিয়ে উচ্ছ্বসিত রাহুল দ্রাবিড়
আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা জিম্বাবোয়ে ক্রিকেট বোর্ডের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত, ঐতিহাসিক পদক্ষেপ ইংল্যান্ডের