ওডিআই বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রতিবারই খেলেছে ইংল্যান্ড। তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গতবার। একাধিকবার বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরে গিয়েছে ইংল্যান্ড।
রবিবার ওডিআই বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের কাছে হেরে গিয়েছে ইংল্যান্ড। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের কাছে ৬৯ রানে হেরে গিয়েছে গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এই হারের ফলে একটি লজ্জাজনক রেকর্ড গড়ল ইংল্যান্ড। ওডিআই বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে ১১টি টেস্টখেলিয়ে দলের কাছেই হেরে গেল ইংল্যান্ড। ১৯৭৫ সাল থেকে ২০২৩, ওডিআই বিশ্বকাপের ৪৮ বছরে এসে এই রেকর্ড গড়ল ইংল্যান্ড। ১৯৭৫ সালের ওডিআই বিশ্বকাপে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যায় ইংল্যান্ড। ১৯৭৯ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে যায় ইংল্যান্ড। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হেরে যায় ইংল্যান্ড। এই বিশ্বকাপেই প্রথমবার নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যায় ইংল্যান্ড। ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় পাকিস্তান। ১৯৯২ সালের ওডিআই বিশ্বকাপে প্রথমবার জিম্বাবোয়ের কাছে হেরে যায় ইংল্যান্ড। ১৯৯৬ সালের ওডিআই বিশ্বকাপে প্রথমবার শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে যায় ইংল্যান্ড। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবার ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ। এই বিশ্বকাপেই আয়ারল্যান্ডের কাছেও হেরে যায় ইংল্যান্ড। এবার আফগানিস্তানের কাছেও হেরে গের ইংল্যান্ড।
১৯৭৯, ১৯৮৭ ও ১৯৯২ সালে ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড। ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ ফাইনালে ক্যারিবিয়ানদের কাছে হেরে যায় ইংরেজরা। ১৯৮৭ সালে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যায় ইংল্যান্ড। এরপর ১৯৯২ সালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। ২০১৯ সালে প্রথমবার ওডিআই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আগে পর্যন্ত 'চোকার্স' হিসেবে পরিচিত ছিল ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপে বারবার হেরে গিয়েছে ইংল্যান্ড। গতবার বিশ্বকাপ ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচ টাই হলেও, অদ্ভুত নিয়মের কারণে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।
এবারের ওডিআই বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত খুব একটা খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি ইংল্যান্ড। ৩ ম্যাচ খেলে মাত্র ১টিতেই জয় পেয়েছে জস বাটলারের দল। ফলে সেমি-ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করতে হলে বাকি ৬ ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে জয় পেতেই হবে। কারণ, এবারের ওডিআই বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করতে হলে অন্তত ৬টি ম্যাচ জিততেই হবে। ১২ পয়েন্ট না পেলে কোনও দলের পক্ষ সেমি-ফাইনালে যাওয়া সম্ভব নয়। ফলে ইংল্যান্ডের বাকি ম্যাচগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে খেলতে হবে ইংল্যান্ডকে। ফলে বাটলারদের সেমি-ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করা কঠিন।
আরও পড়ুন-
England vs Afghanistan: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের উৎসর্গ রশিদ খানের
England vs Afghanistan: বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬৯ রানে জয় আফগানিস্তানের