রেজাল্ট তো কিছুই দিতে পারছেন না, খালি চেয়েই চলেছেন একের পর এক।
রেজাল্ট তো কিছুই দিতে পারছেন না, খালি চেয়েই চলেছেন একের পর এক। ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir) একের পর এক চাহিদা মেটাতে মেটাতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে একাধিকবার নিয়ম বদলাতে হয়েছে।
একাধিক পরিবর্তন দেখেছে ভারতীয় ক্রিকেট (Indian Cricket)। মাত্র চার মাস হয়েছে, এখনই কোচ বদলের দাবি উঠতে শুরু করে দিয়েছে। এই দেশের ক্রিকেটে এত তাড়াতাড়ি কোনও কোচ সরানোর দাবি আগে কখনও ওঠেনি।
নিউজ়িল্যান্ড সিরিজ়ে ভরাডুবির পর, ভারতীয় ক্রিকেট আবার খুব শীঘ্রই ফিরবে বাবু সংস্কৃতিতে। রীতিমতো ছাঁটা হচ্ছে গম্ভীরের ডানা। তাঁর একার হাতে আর ছাড়া হবে না রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলিদের দায়িত্ব।
ক্রিকেটে দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে সাধারণত কোচের থাকার নিয়ম নেই। কিন্তু গম্ভীরের ক্ষেত্রে অবশ্য সেই নিয়ম মানা হয়নি। এমনকি, অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের কোন দল যাবে তা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রেও নাক গলিয়েছেন গম্ভীর।
তবে কোচ হওয়ার আগে থেকেই একাধিক শর্ত চাপাতে শুরু করেন গম্ভীর। তখন তাঁর শর্ত ছিল, নিজের পছন্দমতো সহকারী কোচদের নিতে হবে। ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং কোচের ব্যাপারে কারও অনুরোধ তিনি শুনবেন না। আসলে ভারতীয় বোর্ড বিদেশি কোচ নিযুক্ত করার বিষয়ে একেবারেই রাজি ছিল না। এরপর গম্ভীরের শর্ত মেনেই তাঁর সহকারী হিসেবে বেছে নেওয়া হয় রায়ান টেন দুশখতেকে।
ওদিকে বোলিং কোচ করা হয় মর্নি মর্কেলকে। অন্যদিকে, বোর্ড জাহির খানকে বোলিং কোচ হিসেবে চেয়েছিল। কিন্তু গম্ভীর তা মানেননি। উল্টে নিজের পছন্দের বোলিং কোচকেই দলে নেন। অনেক টালবাহানার পর বোর্ড তা মেনেও নেয়।
কিন্তু এতকিছুর পরেও, ১২ বছর পর ঘরের মাঠে ভারত টেস্ট সিরিজে পরাজিত হয়েছে। আর ২৪ বছর পর টেস্টে চুনকাম হয়। স্বভাবতই, প্রশ্নের মুখে গম্ভীর। কোচ বদলের দাবি যেন ক্রমশই জোরালো হচ্ছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।