বাইশ গজের বাইরে খাদ্যপ্রেম, কোন কোন ভারতীয় ক্রিকেটার নামজাদা রেস্তোরাঁর মালিক? জেনে নিন

ভারতবর্ষের অন্যতম প্রিয় খেলা ক্রিকেট। আর ভারতীয়রা ক্রিকেট দেখতে ভীষণ ভালোবাসে।কিন্তু কাদের জন্য দেখেন এই ক্রিকেট? সেই একাধিক তারকা ক্রিকেটার, যাদের ব্যাটের জাদুতে মুগ্ধ হন আপামর ক্রিকেটপ্রেমীরা। সেই ক্রিকেটাররাই খুলে ফেলেছেন একের পর এক রেস্তোরাঁ। 

Subhankar Das | Published : May 27, 2024 5:55 AM IST

ভারতবর্ষের অন্যতম প্রিয় খেলা ক্রিকেট। আর ভারতীয়রা ক্রিকেট দেখতে ভীষণ ভালোবাসে। রবিবার রাতের আইপিএল ফাইনালও কোটি কোটি মানুষ দেখেছেন। কিন্তু কাদের জন্য দেখেন এই ক্রিকেট? সেই একাধিক তারকা ক্রিকেটার, যাদের ব্যাটের জাদুতে মুগ্ধ হন আপামর ক্রিকেটপ্রেমীরা। এককালের শচিন-সেওয়াগ জুটি থেকে হাল আমলের কোহলি-জাদেজা কিংবা ধোনি, যাদের ক্রিকেট স্কিলে বুঁদ গোটা দেশ।

কিন্তু ক্রিকেটের পাশাপাশি তাদের মধ্যে অনেকেই নেমেছেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়। বাইশ গজের লড়াইয়ের পাশাপাশি তাদের উদ্যোগে চালু হয়েছে নিত্যনতুন খাবারের ঠিকানা। চলুন দেখে নিই, কোন ক্রিকেটার কোন রেস্তোরাঁর মালিক।

ভারতীয় দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটার বিরাট কোহলি দুটি রেস্তোরাঁর মালিক। ‘ওয়ান এইট কমিউন’ এবং ‘নেওয়া’, এই দুটি রেস্টুরেন্টের মালিক কোহলি স্বয়ং। গত ২০১৭ সালে এই রেস্তোরাঁটি পথ চলা শুরু করে। দিল্লি এবং মুম্বইয়ের একাধিক জায়গায় এই রেস্তোরাঁটির আউটলেট রয়েছে। সেইসঙ্গে, কলকাতার পার্কস্ট্রিটেও একটি আউটলেট রয়েছে এটির।

মূলত কন্টিনেন্টাল এবং এশিয়ান খাবারের মেনু পরিবেশিত হয় কোহলির রেস্তোরাঁয়। অন্যদিকে, প্রাক্তন ভারতীয় বোলার জহির খানও দুটি বিলাসবহুল রেস্তোরাঁর মালিক। ‘ডাইন ফাইন’ এবং ‘দ্য স্পোর্টস লাউঞ্জ’, মূলত এই দুটি রেস্টুরেন্টের মালকিন হলেন তিনি। পুনেতে এই ‘ডাইন ফাইন’ রেস্তোরাঁটি পথচলা শুরু করে ২০০৫ সাল থেকে। বহু বছরের পুরনো এটি, ফলে নিঃসন্দেহে একটি খ্যাতি অর্জন করেছে রেস্তোরাঁটি। কয়েক বছর পর স্পোর্টস-বারের সেটআপ সমেত জন্ম নেয় ‘দ্য স্পোর্টস লাউঞ্জ’ নামক আরও একটি রেস্টুরেন্ট, উদ্যোগ নেন সেই জাহিরই।

অন্যদিকে, বিহারের পাটনায় ‘ইলেভেনস’ নামক একটি রেস্তোরাঁর মালিক প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব। পুরোপুরি ক্রিকেট-থিমযুক্ত রেস্টুরেন্ট এটি। পরিবার, দম্পতি এবং বন্ধুদের আড্ডা দেওয়ার জন্য অসাধারণ একটি জায়গা। ভারতীয়, প্যান এশিয়ান এবং কন্টিনেন্টাল, সবরকম মেনুই রয়েছে এই ঠিকানায়।

গত ২০২৩ সালে আমস্টারডাম শহরে একটি ভারতীয় রেস্তোরাঁ খোলেন জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার সুরেশ রায়না। ভিন্ন স্বাদের খাবার তো এখানে রয়েছেই। সেইসঙ্গে, গ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ডিশও অফার করে এই রেস্টুরেন্টটি। ভারতবর্ষের ক্রিকেট এবং খাদ্য ঐতিহ্যকে মাথায় রেখেই রেস্তোরাঁটিকে সাজিয়ে তুলেছেন রায়না।

‘জাড্ডু'স পুড পিলড’ নামক একটি রেস্তোরাঁর মালিক হলেন রবীন্দ্র জাদেজা। গুজরাটের রাজকোটে অবস্থিত এটি। এই ঠিকানায় ভারতীয়, থাই, চাইনিজ, মেক্সিকান এবং ইতালীয় মেনু মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

এবার আসা যাক মাস্টার-ব্লাস্টারের কথায়। মুম্বাইয়ের বেশ কিছু জায়গায় তাঁর রেস্তোরাঁর আউটলেট রয়েছে। রেস্টুরেন্টটির নাম ‘তেন্ডুলকার’স’। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর দুই জায়গায় আউটলেট খুলেছে এই রেস্তোরাঁর। মাল্টি-কুইজিন ডিশ রয়েছে এই রেস্তোরাঁর মেনুতে।

পিছিয়ে নেই দাদাও। ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় শহরের বুকেই একটি রেস্তোরাঁ তৈরি করেছেন। নাম তার ‘সৌরভস’। শহর কলকাতার জনপ্রিয় ফুড জয়েন্টগুলির মধ্যে অন্যতম একটি। মূলত, ভারতীয় এবং চাইনিজ খাবারই অফার করে এই রেস্তোরাঁটি।

দুবাইয়ে ‘দ্য ফ্লাইং ক্যাচ’ নামে একটি রেস্তোরাঁর মালিক হলেন জাতীয় দলের আরও এক ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান। প্রাথমিকভাবে এটি একটি স্পোর্টস ক্যাফে হিসেবে যাত্রা শুরু করে। গত ২০২৩ সালে চালু হয়েছিল এটি। এখনও পর্যন্ত তিনি যে ক্যাচগুলি নিয়েছেন, সেই ঐতিহাসিক ক্যাচগুলির মুহূর্ত দিয়েই সাজিয়ে তুলেছেন এই রেস্তোরাঁটি। বলা যেতে পারে, ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ। বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য দুর্দান্ত একটি জায়গা৷

অন্যদিকে, গত ২০২২ সালে ‘শাকা হ্যারি’ নামে একটি রেস্তোরাঁ চালু করেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক এবং ‘ক্যাপ্টেন কুল’ মহেন্দ্র সিং ধোনি। ব্যাঙ্গালোর বিমানবন্দরে এটির প্রথম আউটলেট চালু হয়। মূলত যারা ভেজ খেতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য অন্যতম প্রিয় জায়গা।

জাতীয় দলের আরও এক প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র সেওয়াগও একটি রেস্তোরাঁর মালিক। যেখানে তাঁর প্রিয় খাবার পরিবেশন করা হয়।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article

Latest Videos

click me!

Latest Videos

Acropolis Mall Fire | অ্যাক্রোপলিস মলে ভয়াবহ আগুন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে আগুন নেভানোর কাজ
Suvendu Adhikari | ঘরছাড়া বিজেপি প্রার্থীদের নিয়ে রাজভবনের পথে শুভেন্দু, গাড়ি আটকাল পুলিশ
Suvendu Adhikari : 'ভালো হলে কৃতিত্ব নিজেদের, খারাপ হলে দায় শুভেন্দুর!' অভিমানী শুভেন্দুর প্রশ্ন!
Suvendu Adhikari : রাজ্যপাল নিজে ডেকেছেন, পুলিশ আটকাল কেন? প্রশ্ন শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari : 'মমতা বিরোধীদের শেষ করে দিতে চায়' বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর