ভারত, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশের পাশাপাশি এবার দক্ষিণ আফ্রিকাতেও নতুন করে শুরু হচ্ছে টি-২০ লিগ। এই লিগের সাফল্যের বিষয়ে আশাবাদী ডেভিড মিলার।
১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে এসএ২০ লিগের প্রথম মরসুম। এই লিগের সাফল্যের বিষয়ে আশাবাদী দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার ডেভিড মিলার। তাঁর আশা, আইপিএল-এর মতোই সফল হবে এসএ২০। দক্ষিণ আফ্রিকার এই টি-২০ লিগের প্রথম মরসুমে খেলবে ৬টি দল। সব দলেরই মালিক আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। ডারবান'স সুপার জায়ান্টস, জোবার্গ সুপার কিংস, এমআই কেপ টাউন, পার্ল রয়্য়ালস, প্রিটোরিয়া ক্যাপিটালস ও সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপ। এই লিগের আয়োজকরা এখন শেষমুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। এই লিগের বিষয়ে মিলার বলেছেন, ‘আমরা এরকম কিছু একটার অপেক্ষাতেই ছিলাম। আপনারা যদি বিভিন্ন দেশের লিগের দিকে তাকিয়ে দেখেন, তাহলে দেখতে পাবেন, সব লিগের মাধ্যমেই স্থানীয় ক্রিকেটাররা উপকৃত হচ্ছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা এই লিগে গিয়ে খেলছেন। এর ফলে স্থানীয় ক্রিকেটাররা অভিজ্ঞতা অর্জন করার সুযোগ পাচ্ছেন।’ আইপিএল-এর ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি এসএ২০ লিগের সঙ্গে যুক্ত থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার এই লিগও সফল হবে বলে আশাবাদী মিলার।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, চেন্নাই সুপার কিংস, রাজস্থান রয়্যালস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, দিল্লি ক্যাপিটালস ও লখনউ সুপার জায়ান্টসের কর্ণধাররাই এসএ২০ লিগের ৬টি ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্ণধার। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে ১০ বছরের জন্য বিনিয়োগ করার চুক্তি করেছে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। সেই কারণেই এসএ২০ লিগের সাফল্য়ের বিষয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন মিলার। তিনি বলেছেন, ‘এই লিগের সঙ্গে আইপিএল-এর ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির কর্ণধাররা যুক্ত। তাঁরা গত ১৪-১৫ বছর ধরে আইপিএল-কে সফল করে তুলেছেন। দলগুলি কী চায় এবং কীভাবে একটি প্রতিযোগিতা চালাতে হয়, সে বিষয়ে এই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির কর্ণধাররা অত্যন্ত অভিজ্ঞ। তাঁরা বিশ্বের বিভিন্ন লিগের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। টি-২০ ক্রিকেট যেভাবে এগিয়ে চলেছে, তাতে এ বিষয়ে আমি আশাবাদী। ক্রিকেট খেলার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা খুব সুন্দর জায়গা। এখানকার আবহাওয়া খুব সুন্দর এবং স্থানীয় সময়ও উপযোগী। এসএ২০ লিগ সফল হবে বলেই মনে হচ্ছে। ভারতের মালিকরা এসএ২০ লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির কর্ণধার হওয়ায় স্থানীয় খেলোয়াড়দের পক্ষে এই লিগ বেশ লাভজনক হবে।’
২০০৮ সালে চালু হয় আইপিএল। এই টি-২০ লিগ বহু ক্রিকেটারের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটারদের পাশাপাশি বিদেশি ক্রিকেটাররাও আইপিএল থেকে লাভবান হয়েছেন। এসএ২০ নিয়েও আশাবাদী মিলার। তিনি বলেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার হিসেবে সবাই দেশের হয়ে খেলতে চায়। এটা আমার কাছে সবচেয়ে বড় সম্মানের ব্যাপার। আইপিএল যেভাবে ক্রিকেটারদের ভাগ্য বদলে দিয়েছিল, সেরকমই আর্থিক সুবিধা নিয়ে আসছে এসএ২০। এই লিগ স্থানীয় অনেকেরই জীবন বদলে দেবে। ক্রিকেটাররা ঘরোয়া চুক্তির বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আয় করার সুযোগ পাবে। এটা সবার পক্ষেই ভালো।’
আরও পড়ুন-
অনিল কাপুরের 'নায়ক' দেখেছেন? বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ আয়োজকদের তোপ শাকিবের
ক্রিকেটে ফিরলেন মন্দিরা বেদী, দেখা যাবে রাজস্থান রয়্যালসের রিয়েলিটি শোয়ে
সেপ্টেম্বরেই ফের ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ, প্রকাশ্যে এল এশিয়া কাপের সূচি