তখন পুরো যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি। সেইজন্যই ইরানে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর (AFC Champions League2) ম্যাচ খেলতে যেতে পারেনি মোহনবাগান (Mohun Bagan)।
তখন পুরো যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি। সেইজন্যই ইরানে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর (AFC Champions League2) ম্যাচ খেলতে যেতে পারেনি মোহনবাগান (Mohun Bagan)।
সেই কারণে, চলতি মরশুমে এই টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলি আর খেলতে পারবে না তারা। তবে কোনও আর্থিক জরিমানা হবে না। ক্লাবের তরফ থেকে যে আবেদন এএফসি-র কাছে করা হয়েছিল, তার উত্তরে এএফসি থেকে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
যেহেতু তখন পরিস্থিতি হাতের বাইরে ছিল, তাই কোনও আর্থিক জরিমানার নিয়ম মোহনবাগানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। অন্য কোনও শাস্তিও দেওয়া হবে না। তবে এই মরশুমে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-র বাকি ম্যাচগুলিতে খেলার অনুমতি পেল না সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
উল্লেখ্য, অক্টোবর মাসের ম্যাচ ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তার মাঝেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ইরানের পরিস্থিতি। এমনকি, ম্যাচের আগের দিন ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ব্যালেস্টিক মিসাইল ছুঁড়তে শুরু করে ইরান। কার্যত, যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি যায় সেই দেশে। স্বাভাবিকভাবেই, সেই পরিস্থিতিতে ইরানে যাওয়া কোনওভাবেই নিরাপদ ছিল না দলের জন্য।
এই নিয়ে এএফসি-র কাছে আবেদনও জানায় মোহনবাগান। কিন্তু তারা জানিয়ে দেয়, ৫.২ নিয়মবিধি অনুযায়ী, ধরে নেওয়া হয়েছে যে মোহনবাগান এসিএল-২ থেকে নাম প্রত্যাহার করেছে। আর আগের ম্যাচে মোহনবাগান যে এক পয়েন্ট পেয়েছিল, সেটাও কেড়ে নেওয়া হয়।
এদিকে সবুজ-মেরুনের যুক্তি ছিল, ইরানে যুদ্ধের আবহে যাওয়া কোনওভাবেই সম্ভব ছিল না। পরে সেই আশঙ্কা সত্যিও হয়েছে। তাদের তরফ থেকে বারবার ফুটবলারদের নিরাপত্তার দিকে জোর দেওয়া হয়েছিল। মোহনবাগান ফুটবলাররা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তারা ইরানে যেতে চাইছেন না।
আবার এরই মধ্যে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে যে, আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হতে পারে সবুজ মেরুনকে। কিন্তু সেই আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দিয়ে এএফসি জানিয়ে দিল যে, কোনও জরিমানা বা অন্য কোনও শাস্তি হচ্ছে না দলের। কারণ, পরিস্থিতি হাতের বাইরে থাকায় ৫.৭ ধারা অনুযায়ী আর্থিক কোনও জরিমানা হবে না। তবে ৫.৬ এবং ৫.৭ ধারা অনুযায়ী, এই মরশুমে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২ থেকে মোহনবাগানের নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।