জনপ্রিয়তা বাড়ছে কোস্টাল ট্রেকিংয়ের, নির্জন সমুদ্রতটের রোমাঞ্চ উপভোগ করছেন সব বয়সের মানুষ

অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের মধ্যে কিছুটা সহজ কোস্টাল ট্রেকিং। এই কারণে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই অ্যাডভেঞ্চার। সব বয়সের মানুষই এই অ্যাডভেঞ্চার উপভোগ করতে পারেন।

Web Desk - ANB | Published : Jan 21, 2023 7:22 AM IST / Updated: Jan 21 2023, 01:51 PM IST

নির্জন সমুদ্রতট ভালো লাগে? সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ শুনতে শুনতে হাঁটার ইচ্ছা রয়েছে? এমন জায়গায় যেতে চান যেখানে শুধু বালি, সমুদ্রের ঢেউ, ঝাউবন, লাল কাঁকড়া আর সামুদ্রিক পাখি ছাড়া আর কিছু নেই? তাহলে আপনার জন্য আদর্শ কোস্টাল ট্রেকিং। যে কোনও বয়সের মানুষই এই রোমাঞ্চ উপভোগ করতে পারেন। শুধু বালির উপর দিয়ে কয়েক ঘণ্টা হাঁটার মতো শারীরিক সক্ষমতা থাকতে হবে। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার মতো হাঁটতে হবে। তার মধ্যে অবশ্য বিশ্রাম, খাওয়ার জন্য বিরতি পাওয়া যায়। নৌকা করে নদী বা সমুদ্রও পেরোতে হতে পারে। খালি পায়ে হেঁটেও নদী পেরোতে হয়। সব ধরনের রোমাঞ্চই রয়েছে কোস্টাল ট্রেকিংয়ে। তাই যাঁরা সমুদ্র ভালোবাসেন তাঁরা এই অ্যাডভেঞ্চারে যেতেই পারেন। পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও কোস্টাল ট্রেকিংয়ে যাচ্ছেন। বয়স্করাও কোস্টাল ট্রেকিংয়ে যেতে পারেন। এই রোমাঞ্চ থেকে কারও বঞ্চিত থাকার কোনও কারণ নেই।

অন্য়তম জনপ্রিয় কোস্টাল ট্রেক রুট বালাসোর থেকে তালসারি। ওড়িশার অন্যতম জনপ্রিয় সমুদ্রতট চাঁদিপুর থেকে শুরু হয় হাঁটা এবং শেষ হয় তালসারিতে। এই ট্রেকে ৩ দিন হাঁটতে হয়। প্রথম দিন বালাসোরে গিয়ে রাত কাটাতে হয়। পরদিন সকালে শুরু হয় হাঁটা। সমুদ্রতট দিয়ে সবসময় হাঁটা সম্ভব হয় না। গ্রামের মধ্যে দিয়েও অনেক সময় হাঁটতে হয়। চাঁদিপুর থেকে হাঁটা শুরু করে প্রথমে নৌকায় ঐতিহাসিক বুড়িবালাম নদী পেরোতে হয়। সেদিনের মতো যাত্রা শেষ হয় কাসাফলে। এর মধ্যে দুপুরের খাওয়া সেরে নিতে হয় সমুদ্রের পাড়়ে বসে বা ঝাউবনের মধ্যে ঢুকে। কাসাফলে রাত কাটাতে হয় সাইক্লোন সেন্টার বা তাঁবুতে। 

দ্বিতীয় দিন সবচেয়ে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়। সকালে কাসাফল থেকে শুরু করে যাত্রা শেষ হয় দাগারায়। ৮ ঘণ্টার মতো হাঁটতে হয়। ভাঁটার সময় একাধিক নদী, খাঁড়ি পেরোতে হয় খালি পায়ে হেঁটে। নদী, খাঁড়ির মধ্যে খালি পায়ে নামলে অসাধারণ অনুভূতি হয়। এই পথে সমুদ্রতট এত নির্জন, কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে কোনও জনবসতি তো দূরের কথা, কোনও মানুষের দেখা পাওয়া যায় না। এক জায়গায় বালির মধ্যে অনেক শঙ্খ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ইচ্ছা হলে সেই শঙ্খ তুলে নেওয়া যায়।

তৃতীয় দিন যাত্রা শেষ হয় তালসারিতে। দাগারা থেকে তালসারি পৌঁছনোর পথে সমুদ্রতট ছেড়়ে একটি গ্রামের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। নৌকা করে সুবর্ণরেখা নদীও পেরোতে হয়। তালসারিতে রাত কাটিয়ে পরদিন দিঘা হয়ে বাড়ি ফেরা। 

আরও পড়ুন-

খেলছেন কেরিয়ারের শেষ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে, চ্যাম্পিয়নশিপই লক্ষ্য সানিয়ার

ওয়েলশকে হারিয়েও গ্রুপে দ্বিতীয়, সরাসরি হকি বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে ব্যর্থ ভারত

মানালি বেড়াতে যাচ্ছেন? অ্যাডভেঞ্চারের শখ মিটিয়ে নেওয়ার সুযোগ ছাড়বেন না

Share this article
click me!