সেইসঙ্গে, খোয়ালেন প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। জানা গেছে, পুণের সাসওয়াড়ের বাসিন্দা হলেন ওই পুলিশকর্মী। পুণে গ্রামীণ পুলিশে কর্মরত রয়েছেন তিনি।
এবার অনলাইন পেমেন্ট করতে গিয়ে টাকা খোয়ালেন খোদ পুলিশকর্মী। স্থানীয় এক বেকারির দোকান থেকে জিনিস কিনে QR কোড স্ক্যান করে অনলাইনে টাকা দিতে গিয়েই বিপদে পড়লেন এক পুলিশকর্মী।
সেইসঙ্গে, খোয়ালেন প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। জানা গেছে, পুণের সাসওয়াড়ের বাসিন্দা হলেন ওই পুলিশকর্মী। পুণে গ্রামীণ পুলিশে কর্মরত রয়েছেন তিনি। একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কয়েকদিন আগে ওই পুলিশকর্মী সাসওয়াড়ের একটি বেকারির দোকানে কিছু জিনিস কিনতে যান। এরপর সেখানে পেমেন্ট করার জন্য দোকানের কিউআর কোডটিও ব্যবহার করেন।
কিন্তু কিছুক্ষণ পর তিনি তাঁর মোবাইলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কাটার একটি মেসেজ পান। এরপর হটাৎ দেখেন যে, তাঁর সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১৮ হাজার ৭৫৫ টাকা গায়েব। সন্দেহ হওয়ার ফলে, তিনি অন্য একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে তা যাচাই করতে যান। সেটা করতে গিয়েই যেন তাঁর চোখ একেবারে কপালে উঠে যায়।
ওই পুলিশকর্মী দেখেন যে, তাঁর স্যালারি অ্যাকাউন্ট থেকে ১২ হাজার ২৫০ টাকা পুরো উধাও। এরপর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়, যখন ওই পুলিশকর্মীর কাছে তাঁর গোল্ড লোন অ্যাকাউন্ট থেকেও এক লাখ ৯০ হাজার টাকা লেনদেনের জন্য ওটিপি চেয়ে একটি মেসেজ আসে। অভিযোগ উঠছে, ওটিপি না দেওয়া সত্ত্বেও ওই লেনদেন সম্পন্ন হয়ে যায়।
এমনকি, হ্যাকাররা তাঁর ক্রেডিট কার্ড থেকে দুবার ১৪ হাজার টাকা লেনদেনেরও চেষ্টা করে। তবে তার আগেই ওই পুলিশকর্মী নিজের ক্রেডিট কার্ড এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দ্রুত ফ্রিজ় করে দেন।
চিন্তার বিষয় হল, দিন দিন বেড়েই চলেছে সাইবার ক্রাইম। প্রতারকরা সব নিত্যনতুন পন্থা অবলম্বন করে প্রতারণার ফাঁদ পাতছেন ক্রমশ। অনেকেই সেই ফাঁদে পা দিয়ে ফেলে খোয়চ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।