টেকনোলজির দুনিয়ায় নয়া বিপ্লব ঘটিয়েছে এআই, কিন্তু সুরক্ষা স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নিয়ন্ত্রণ ঠিক কতটা প্রয়োজন?

বর্তমানে এই টেকনোলজি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামাজিক উন্নয়ন ও টেকনোলজিক্যাল উন্নয়নের লক্ষ্যে আজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

টেকনোলজিইর জগতে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আগমন বিশ্বব্যাপি টেকনোলজির দুনিয়ায় এক বিপ্লব ঘটিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরেই বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ধীরে ধীরে মাথা চাড়া দিতে শুরু করেছিল এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই টেকনোলজি। বর্তমানে এই টেকনোলজি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামাজিক উন্নয়ন ও টেকনোলজিক্যাল উন্নয়নের লক্ষ্যে আজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কৃষি থেকে স্বাস্থ্য, শিক্ষা-সহ একাধিক ক্ষেত্রে আজ এআই-এর ব্যবহার বহুল প্রচলিত। বিশ্ব অর্থনীতিতেও এআই-এর প্রভাব অস্বীকার করা যায় না। তথ্য অনুসারে জেনারেটিভ এআই একাই বছরে ২.৬ ট্রলিয়ন ডলার থেকে ৪.৪ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্য রাখে।

এইআই টেকনোলজিকে একটি নির্দিষ্ট নিয়মাবলির আওতায় আনার প্রাথমিক কারণ হিসেবে ক্রমাগত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহারকে ধরা যায়। এআই টেকনোলজির অপব্যবহারের ফলে বিশ্ব সুরক্ষা থেকে শুরু করে ভুয়ো তথ্য ছড়ানো, একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার, এমকী ব্যক্তিগত বা সাম্প্রদায়ীক স্তরেও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলত বিজ্ঞানের এই অভাবনীয় আবিষ্কার যাতে কোনওভাবেই বিশ্বের কাছে অভিশাপ হয়ে না দাঁড়ায় তা নিশ্চিত করার জন্যই এই এআই-কে কিছু নির্দিষ্ট নিয়মের আওতায় আনা হয়েছে।

Latest Videos

অতএব, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রোয়গ রুখতে এআই-এর সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। বর্তমানে AI উন্নয়ন এবং শাসনের তিনটি বিস্তৃত পন্থা উদ্ভূত হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে, আরেকটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বারা এবং তৃতীয়টি চিন দ্বারা। একদিকে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের মতো দেশগুলি শিল্পের স্ব-নিয়ন্ত্রণ এবং নির্দেশিকা নীতিগুলির মাধ্যমে এআই শাসন করতে চাইছে, অন্যদিকে তখন কানাডা এবং ব্রাজিলের মতো দেশগুলির সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কঠোর নিয়ন্ত্রণের আইন জারি করার দিকে ঝুঁকছে বলে মনে হচ্ছ। চীনও একটি প্রেসক্রিপটিভ পন্থা অবলম্বন করছে তবে নির্দিষ্ট এআই প্রযুক্তিগুলিকে পরিচালনা করার জন্য সুনির্দিষ্ট প্রবিধান স্থাপনের মাধ্যমে। এই প্রতিটি পন্থাই গভর্নিং এখতিয়ারের স্বার্থ পূরণের জন্য তৈরি করা হয়েছে, যার ফলে এআই নিয়ন্ত্রণে একটি বিশ্বব্যাপী পদ্ধতির সৃষ্টি হয়েছে।

অন্যদিকে ভারতে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এআই-এর উন্নয়ন নজর কেড়েছে। ভারত শীঘ্রই তৃতীয় বৃহত্তম এআই অর্থনীতিতে পরিণত হবে। তবে এখনও এআই নিয়ে কোনও কংক্রিট পদক্ষেপ নেওয়ার আগে এই নতুন প্রযুক্তির মূল্যায়ন করছে বলে মনে করা হচ্ছে। উদীয়মান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের নিজস্ব নিয়ন্ত্রক পথ নির্ধারণের বিস্তৃত পদ্ধতির সঙ্গে সম্পর্কিত। পশ্চিমে নিয়ন্ত্রক শাসন দ্বারা প্রভাবিত হলেও, শাসনের প্রতি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি প্রাথমিকভাবে তার অভ্যন্তরীণ নীতি অগ্রাধিকার থেকে উদ্ভূত হয়।২০২৩ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে মূল নথিতেও এই দৃষ্টিভঙ্গির রূপরেখা দিয়েছে এবং প্রস্তাবিত ডিজিটাল ইন্ডিয়া আইনের মাধ্যমে এআই নিয়ন্ত্রণ করার তার অভিপ্রায় স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করেছে।

Share this article
click me!

Latest Videos

Mamata Banerjee Live: নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা, দেখুন সরাসরি
Bangla News : সুকান্তকে বাধা, বেলডাঙা নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি | Asianet News Bangla
বাগদায় ফের চলল বুলডোজার! হাইকোর্টের নির্দেশে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ৬টি দোকান | Bagdah News
দেরিতে আসায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে কড়া ধমক MLA অসিত মজুমদারের, দেখুন ভিডিও
Mamata Banerjee : 'মোদী বাংলার কৃষকদের একটা পয়সাও দেয় না' বিতর্কিত মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের