কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি অনলাইন প্রতারণা সংক্রান্ত একটি Digital Arrest মালায় সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর একটি কোর্ট চার্জশিট পেশ করেছে।
ডিজিটাল গ্রেফতার বা Digital Arrest নিয়ে মন কি বাত অনুষ্ঠানেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এার সেই ডিজিটাল গ্রেফতারি মামলায় বড় তথ্য প্রদান করল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানন হয়েছে মাত্র ১০ মাসে এই জাতীয় প্রতারণার শিকার হয়ে ২ হাজর ১৪০ কোটি টকা হারিয়েছেন সাধরণ মানুষ। অর্থাৎ গত প্রতিমাসে সাধারণ মানুষ হারাচ্ছে ২১৪ কোটি টাকা। আর এজাতীয় প্রতরণা চক্র পরিচালনা হচ্ছে থাইল্যান্ড, লাওস থেকে।
কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি অনলাইন প্রতারণা সংক্রান্ত একটি মালায় সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর একটি কোর্ট চার্জশিট পেশ করেছে। সেখানে সংস্থার পক্ষ থেকে হাড়হিম করা তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। অনলাইনে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের টোপ দিয়ে ও ডিজিটাল গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলছিল প্রতারকরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই এজাতীয় অভিযোগ পাওয়া যায়। দায়ের হওয়া এফআইআর-এর ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ইডি। তাতেই উঠে এসেছে হংকং, থাইল্যান্ড থেকে প্রতরণা চক্র চালান হচ্ছে। ভারতে নিজেদের কিছু লোকজন রেখে বিরাট বড় ফাঁদ পেতেছে প্রতারকর। সাধারণ মনুষকে ভুল বুঝিয়ে টাকা হরিয়ে নেওয়াই মূলত এদের। প্রতারণার টাকা জমা হয় দেশে ও বিদেশের একধিক ব্যাঙ্কে। তদন্তে নেমে প্রায় ১৫৯ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে ইডি। যার পুরোটাই ডিজিটাল অ্য়ারেস্ট বলে মনে করছেন তদন্তকরীরা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইডি সূত্রের খবর, প্রতারণা চক্রের মাথারা মূলত বসে রয়েছে কম্বোডিয়া, মায়ানমার, ভিয়েতনাম, লাওস এবং তাইল্যান্ডে বসেই এজাতীয় কারবার চালাচ্ছে প্রতারক চক্রের মাথারা। তার একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়েও কাজ চালায়। ইডির সন্দেহ, প্রতারণার টাকা প্রাথমিক ভাবে এই অ্যাকাউন্টগুলিতে জমা হত। পরে তা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বদল করে নেওয়া হত। ধৃতদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু সন্দেহজনক নথি, ব্যাঙ্কের চেক বই উদ্ধার করেছে। বাজেয়াপ্ত করেছে ২ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।