বেশিরভাগ লোক বিশ্বাস করে যে বৈদ্যুতিক যানবাহন (ইভি) সাধারণ পেট্রোল এবং ডিজেল গাড়ির তুলনায় পরিবেশের জন্য ভাল, কারণ তারা কম গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন করে।
বেশিরভাগ লোক বিশ্বাস করে যে বৈদ্যুতিক যানবাহন (ইভি) সাধারণ পেট্রোল এবং ডিজেল গাড়ির তুলনায় পরিবেশের জন্য ভাল, কারণ তারা কম গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন করে। এমিশন অ্যানালিটিক্সের সাম্প্রতিক গবেষণা এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। ইমিশন অ্যানালিটিক্স নামক একটি সংস্থার সাম্প্রতিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে বৈদ্যুতিক যানগুলি পেট্রোল এবং ডিজেল গাড়ির চেয়ে বেশি কণা দূষণ ঘটায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে ইভি ব্রেক এবং টায়ার ১,৮৫০ গুণ বেশি দূষণ নির্গত করে।
গবেষণা কি বলে?
যত বেশি মানুষ জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছে, পরিবেশ বান্ধব পরিবহন বিকল্পের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। অনেকেই বিশ্বাস করে যে বৈদ্যুতিক যানবাহন (EVs) পেট্রোল এবং ডিজেল গাড়ির চেয়ে পরিবেশের জন্য ভাল, কারণ তারা কম গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন করে। তবে ইমিশন অ্যানালিটিক্সের সাম্প্রতিক গবেষণা এই ধারণাটিকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল অপ-এড-এ প্রকাশিত গবেষণাটি বৈদ্যুতিক এবং পেট্রোল চালিত উভয় গাড়িতে ব্রেক এবং টায়ার দ্বারা সৃষ্ট কণা দূষণের সমস্যার দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে এই সমীক্ষায়।
কেন বলা হচ্ছে এরকম
সমীক্ষায় প্রকাশিত যে ইভি তাদের ভারী ওজনের কারণে আধুনিক গ্যাস চালিত যানবাহনের তুলনায় ব্রেক এবং টায়ার থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ক্ষতিকারক রাসায়নিক ছাড়তে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে এটি ১৮৫০ গুণ বেশি হতে পারে। টায়ার নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে বলে জানাচ্ছে সমীক্ষা। ইমিশন অ্যানালিটিক্স রিপোর্ট করেছে যে ইভির ভারী ওজনের কারণে টায়ারগুলি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়, বাতাসে ক্ষতিকারক রাসায়নিকগুলি ছেড়ে দেয়। কারণ বেশিরভাগ টায়ার অপরিশোধিত তেল থেকে প্রাপ্ত সিন্থেটিক রাবার দিয়ে তৈরি।
ব্যাটারির ওজন নিয়েও গবেষণা করা হয়েছিল
গবেষণায় ব্যাটারির ওজনের প্রভাবও তুলে ধরা হয়েছে। ইভিতে সাধারণত প্রথাগত পেট্রল ইঞ্জিনের চেয়ে ভারী ব্যাটারি থাকে। এই অতিরিক্ত ওজন ব্রেক এবং টায়ারের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করে, দ্রুত ক্ষয় করে। প্রতিবেদনে উদাহরণ হিসেবে টেসলা মডেল ওয়াই এবং ফোর্ড এফ-১৫০ লাইটনিং উল্লেখ করা হয়েছে। দুটি ব্যাটারিরই ওজন প্রায় ১৮০০ পাউন্ড। গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে হাফ-টন (১.১০০ পাউন্ড) ব্যাটারি সহ একটি ইভি থেকে টায়ার নির্গমন একটি আধুনিক পেট্রোল গাড়ির তুলনায় ৪০০ গুণ বেশি হতে পারে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।