প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, 'বিরক্ত করবেন না' বা ডিএনডি নিবদ্ধ একটি আইনি আদেশ হিসেব পাওয়া যাবে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্যই হল ভোক্তাদের স্প্যাম বা অযাচিত বাণিজ্যিক বার্তা ও কল থেকে রক্ষা করা।
অবাঞ্ছিত ফোনকল থেকে এবার রেহাই পেতে পারেন গ্রহকরা। নতুন টেলিকম বিলে তেমনই বলা হয়েছে। স্মম্প্রতি লোকসভায় পেশ করা হয়েছে টেলিযোগাযোগ বিল ২০২৩। এই বিলটিকে নীতি সংশোধন হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই আইনের মূল লক্ষ্যই হল গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা প্রদান করা, উপকার করা, কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব তেমনই দাবি করেছেন। এই বিলে বলা হয়েছে স্প্যাম কলের জন্য সংশ্লিষ্টের ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
স্প্যাম কল-
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, 'বিরক্ত করবেন না' বা ডিএনডি নিবদ্ধ একটি আইনি আদেশ হিসেব পাওয়া যাবে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্যই হল ভোক্তাদের স্প্যাম বা অযাচিত বাণিজ্যিক বার্তা ও কল থেকে রক্ষা করা। নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে ভোক্তাদের পণ্য ও পরিষেবার জন্য বিজ্ঞাপন ও প্রচার মূলক বার্তা পাঠাতে আর্থিক বিনিয়োগের জন্য অনুরোধ করার ক্ষেত্রে তাদের পূর্ব সম্মতি প্রয়োজন। ব্যবহারকারী যদি সম্মতি না দেয় তাহলে সংস্থাগুলি যদি গ্রাহককে বারবার ফোন করে অর্থাৎ বিরক্ত করে তাহলে নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য সংস্থাগুলিকে প্রথম দফায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হতে পারে। এখানেই শেষ নয়, পরবর্তী প্রতিটি ক্ষেত্রে সংস্থাগুলির কাছ থেকে জরিমানা হিসেবে প্রায় ২ লক্ষ টাকা ধার্য করার বিধান দেওয়া হয়েছে।
গ্রাহকের স্বস্তি -
এই আইন লাগু হয়ে গেলে আপনি যদি এজাতীয় অবাঞ্ছিত কলে বিরক্ত বোধ করে তাহলে এই আইনের বলেই আপনি অনাকাঙ্খিত কল থেকে মুক্তি পেতে পারেন। গত কয়েক বছরে অনাকাঙ্খিত ফোন কল বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রোমোশন ও ব্যাঙ্ক কলের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গ্রহকের হয়রানি। এই জন্য TRAI এর পক্ষ থেকে একাধিকবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে টেলিকম সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে কোনও শক্তপোক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় নতুন বিলের কারণে গ্রাহকরা স্বস্তি পেতে পারে বলেও আশা করা হচ্ছে।