রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির ৪৩ তম এজিএম-এ, রিলায়েন্স জিওর নয়া প্রযুক্তির নাম প্রকাশ্যে এনেছে। আর তা হল জিও গ্লাস। এই গ্লাস বা বিশেষ প্রযুক্তির চশমা বিশেষত শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে যে কোভিড -১৯ এর যুগে অনলাইন ক্লাস বা ওয়ার্ক ফ্রম হোম এর প্রচুর চাহিদা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। জিও গ্লাস এই সময়ের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের জন্য খুব সহায়ক হতে পারে মনে করছে সংস্থা। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সভাপতি কিরণ থোসাম বলেছেন, "জিও গ্লাস এমন এক প্রযুক্তি যা শিক্ষার্থীরা ভূগোলের মতো বিষয়গুলি থ্রিডি মোডের মাধ্যমে পড়তে বা জানতে আগ্রহ বাড়াবে। থ্রিডি এর সাহায্যে, ইতিহাস, অংক, বিজ্ঞানের মত বিষয়গুলি থ্রিডি গ্রাফিক্স ভিজ্যুয়াল দিয়ে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা যাবে শিক্ষার্থীদের কাছে।
জিও গ্লাসের সাহায্যে আপনি ভার্চুয়াল বিশ্বের অন্য কোনও ব্যক্তির থ্রিডি রূপ দেখতে পাবেন। এটি কমিউনিকেশন আরও উন্নত করে তুলবে। এই চশমার সাহায্যে সামনাসামনি চলা কথোপকথনের মতই অনুভূতি দেবে। একটি তারের মাধ্যমে, স্মার্টফোনের সঙ্গে জিও গ্লাস অ্যাক্সেস করা যাবে। জিও চশমার সাহায্যে ঘরে বসে যে কোনও জায়গায় পরিদর্শন করা যেতে পারে। এর মানে আপনি বিশ্বের যে কোনও পর্যটন স্থানটি থ্রিডি ফর্ম্যাটে ঘরে বসেই দেখতে পাবেন। এছাড়া এটিতে সব ধরণের ভিডিও কনফারেন্সিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এক অ্যাপ্লিকেশন থেকে অন্য অ্যাপ্লিকেশনও বেছে নিতে পারবেন সহজেই। এটি পার্সোনালাইড অডিও সহ পাওয়া যাবে। এটি ভার্চুয়াল বিশ্বকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে আপনার কাছে।
জিও গ্লাসকে ওয়্যারলেস হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। এটি থ্রিডি ভার্চুয়াল ক্লাসের পাশাপাশি হিলোগ্রাফিক ক্লাসকে রিয়েল টাইমে জিয়ো মিক্সড রিয়েলিটি ক্লাউডের মাধ্যমে এক্টিভ করা যাবে। জিও গ্লাস একবার ইন্টারনেটে সংযুক্ত হওয়ার পরে এটি ইনস্টল করে থ্রিডি ভিডিও কনফারেন্সিং করা যেতে পারে। এই গ্লাসটির ওজন মাত্র ৭৫ গ্রাম, যা ব্যক্তিগতকৃত অডিও বৈশিষ্ট্য সহ আসে। জিও গ্লাসের সাহায্যে ফ্রি ডি অবতারের মাধ্যমে ভার্চুয়াল কথা বলা সম্ভব। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির ৪৩ তম এজিএম ইভেন্টের সময় এই জিও গ্লাস এর এই ডেমোটি দেখানো হয়েছে।