কীভাবে কনটেন্ট মডারেশনের নিয়মগুলি কাটিয়ে এই ঘটনা ঘটল?
ইউটিউবের বাগ সমস্যার জেরে জেরে ভয়াবহ কাণ্ড। নির্দ্বিধায় আপলোড হচ্ছে পর্ন ভিডিও থেকে শুরু করে নানাবিধ আপত্তিজনক কনটেন্ট। আরও আশঙ্কার বিষয় এখন পর্যন্ত সমাধান মেলেনি এই সমস্যার। জানা যাচ্ছে, বেশ কিছু ইউটিউব হ্যাকারদের ইউটিউবে নানা ধরনের অ্যাডাল্ট কনটেনৃট ছড়িয়ে দেওয়ার থেকেই এই সমস্যার সূত্রপাত। এই ধরনের ভিডিও ইউটিউবের পলিসি লঙ্ঘব করে৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও সুকৌশলে সরাসরি পর্ণ সাইটগুলি থেকে ভিডিও আপলোড করা হয় ইউটিউবে। রাতারাতি হেনটাই থেকে সুইটি ফক্স নামক নানা পর্নস্টারদের ভিডিও ছড়িয়ে পরে ইউটিউবে।
কীভাবে ঘটল এই ঘটনা?
কীভাবে কনটেন্ট মডারেশনের নিয়মগুলি কাটিয়ে এই ঘটনা ঘটল? 404 মিডিয়ার রিপোর্টার ইমানুয়েল মাইবার্গ ময়দানে নামেন। ‘ইউটিউব পর্ন হান্টার’ নামক একটি ডিসকর্ড গ্রুপে যোগ দেন তিনি। এই গ্রুপে নট সেফ ফর ওয়ার্ক বিষয়বস্তু শনাক্ত করে শেয়ার করা হয়৷ মাগবার্গ দেখেন ভিডিও টয়াটিং সিস্টেমের একটি বাগের সুবিধা নিয়েই এই ধরনের কাজ করছে এই হ্যাকাররা৷ তারা ওই প্ল্যাটফর্মে লাখ-লাখ স্পেশ্যাল ক্যারেক্টার, বিশেষ করে নিউ-লাইন ক্যারেক্টার, চ্যানেল বা ভিডিয়ো টাইটেল তৈরি করে সেখান থেকেই এই অ্যাডাল্ট ভিডিয়োগুলি আপলোড করছিল। এ-র ফলেই ইউটিউব থেকে ভিডিও সরানো আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷
কীভাবে ধরা পড়ল গুগলে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয় নানা অভিযোগ তুলেছেন ব্যবহারকারীরা। তবে এই পর্ণ ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টা বেশ অস্পষ্ট ছিল। মাইবার্গ তখন গুগলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেন। সংস্থার একজন মুখপাত্র কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই একটি ভিডিয়ো লিঙ্ক চেয়েছিলেন মাইবার্গের কাছে। লিঙ্ক পাওয়া মাত্রই প্ল্যাটফর্মে অসংখ্য ভিডিয়ো সরিয়ে দেয় YouTube।
কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন?
আপনার ইউটিউব অ্যাকাউন্ট থেকে পর্ন ভিডিয়ো আপলোড করে দিল। তাই, প্রতিটা মুহূর্তে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। হ্যাকাররা যাতে আপনার অ্যাকাউন্টের অ্যাক্সেস নিতে না পারে, তার জন্য আপনার জিমেল ও ইউটিউব অ্যাকাউন্ট সবসময় চেক করতে হবে।