যশের কবলে দক্ষিণবঙ্গের ভ্রমণের প্রাণকেন্দ্র দিঘা-মন্দারমণি-তাজপুর, লকডাউনের মাঝেই বড় কোপ পর্যটনে

  • লকডাউনের পর এবার যশের কোপ
  • ভয়ানক পরিস্থিতিতে দক্ষিণবঙ্গ
  • যশের দাপটে লন্ডভন্ত দিঘা মন্দারমণি
  • বড় ক্ষতির মুখে পর্যটন 

Jayita Chandra | Published : May 26, 2021 10:41 AM IST

কথায় বলে বাঙালির প্রিয় দিপু দা। দিঘা-পুরী ও দার্জিলিং। তবে পকেটের টানে একটাই ছিল নির্দিষ্ট ঠিকানা, তা হল সমুদ্র সৈকত। কেউ পৌঁছে যেতেন সপ্তাহের ক্লান্তি দুর করতে, কেউ আবার যেমেন কোনও বড় ছুটিতে রিল্যাক্স মোডে। দিন দিন দিঘা মন্দারমণির জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়ে উঠছিল যে, সঠিক সময় বুকিং করে না গেলেই পস্তাতে হল। হলেটের দাম থেকে শুরু করে সঠিক লোকেশন, এমন কি বিচের পাশে একটু বসার জায়গাও মেলার ছিল ভাগ্যের ব্যাপার। 

আরও পড়ুন- Cyclone Yaas-এর তাণ্ডব, বিপর্যস্ত বাংলা ও ওড়িশার প্রাকৃতিক দুর্যোগের ছবিগুলি দেখুন 

সেই স্বাধের দিঘা-মন্দারমণিকে তাই দর্শকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করতেও প্রশাসন ঢেলে সাজিয়েছিল। দিন দিন দিঘা হয়ে উঠছিল আরও সুন্দর, পার বাঁধানো থেকে শুরু করে দোকান, তাজপুরের একটা দিন কাটানো, উদয়পুর বিচে বিকেল হলেই ভিড় করা, সবটাই যেন ছিল ছকে বাঁধা। তবে গত এক বছরে ম্লান হয়েছে এই পর্যটন কেন্দ্রের মুখ। করোনার কোপে একাধিকবার লকডাউন। তারওপর পর্যটকদের তেমন ভিড় দেখা যেতন না। 

যদিও নভেম্বর ডিসেম্বর, জানুয়ারিতে ঢেলে ভিড় জমেছিল সৈতকতে। ধীরে ধীরে সবটাই স্বাভাবিক হচ্ছিল, একে একে ছন্দে ফিরছিল এই পর্যটন কেন্দ্র। তাপই মাঝে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। আবারও লকডাউন, এখানেই শেষ নয়, পাশাপাশি হাজির ঘূর্ণিঝড়। লন্ডভন্ড করে যশ যেভাবে এই ভ্রমণ কেন্দ্রের বুক চিরে দাপিয়ে বেরিয়েছে, তাতে নিঃসন্দেহে আরও একবার বিস্তর ক্ষতির মুখে পড়তে হল খুচরো বিক্রেতা থেকে শুরু করে হোটেল মালিকদের। জল ঢুকেছে মূল রাস্তা পর্যন্ত। ছোট ছোট সৌখিন জিনিস বিক্রি করেন অনেকেই, সমুদ্রের পারে থাকা সেই দোকানগুলোতে এখন হাঁটু জল। স্থানীয়দের কথায়, এত বড় দুর্যোগ এর আগে কখনও দেখেনি দিঘা। 

Share this article
click me!