এই মাসের শুরুতে USSC হার্ভার্ডের জ্যোতিবিজ্ঞানী আমির সিরাজ ও আব্রাহাম লোয়েবের একটি বিবৃতি শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে বলা হয়েছে ভিন্ন সৌরজগত থেকে একটি পাথর ২০১৪ সালের পৃথিবীতে এসেছিল।
এলিয়েন অর্থাৎ ভিনগ্রহী যা নিয়ে বিশ্ববাসী চরম আগ্রহ রয়েছে। সত্যি কী ভিনগ্রহীরা রয়েছে, তারা কী আসে পৃথিবীতে- এই নিয়ে নিত্যদিনই আলোচনা হয়। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস কমান্ড নিশ্চিত করেছে ভিনগ্রহী এসেছিল পৃথিবীতে। এখানেই শেষ নয়। হাড়হিম করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে পৃথিবীতে যে উল্কাটি পড়েছিল সেটি এই সৌরজগতের নয়। অন্য সৌরজগত থেকে এসেছিল। তাই সেটি ছিল পৃথিবীতে আসা প্রথম আন্তঃনাক্ষত্রিক বস্তু।
এই মাসের শুরুতে USSC হার্ভার্ডের জ্যোতিবিজ্ঞানী আমির সিরাজ ও আব্রাহাম লোয়েবের একটি বিবৃতি শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে বলা হয়েছে ভিন্ন সৌরজগত থেকে একটি পাথর ২০১৪ সালের পৃথিবীতে এসেছিল। মার্কিন মহাকাশ বিভাগ জানিয়েছে, উস্কাটির গতিবেগ অন্যান্যগুলির তুলনায় আলাদা। তাই এটি এক্সট্রোসোলার ছিল। এটির আয়তন ছিল ১.৫ ফুট। গোটাটাই ছিল পাথরের। তাই নিশ্চিত করে বলা হয়েছিল এটি আন্তঃনাক্ষত্রিক বস্তু। মার্কিন স্পেসকমান্ড সিরাজ আর লোবেয়ের রিসার্চ পেপারের কথা তুলে ধরে বলেছেন- এটি উল্কা নাও হতে পারে। এটি ভিনগ্রহীদের পাঠান কোনও জিনিসও হতে পারে।
ডক্টর সিরাজ ও ডক্টর লোয়েব তাদের গবেষণাপত্রে বলেছেন, দেখা গেছে পৃথিবীতে প্রায় প্রতিটি দশকে একবার করে অন্য সৌরজগতের উল্কা বা এক্সট্রোসোলার উল্কা আছড়ে পড়েছে। এগুলিকে তাঁরা উল্কা বলতে নারাজ। তাঁরা জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪৫০ মিলিয়নেরও বেশি এই ধরনের উল্কা বিশ্বকে আঘাত ককেছে। তাঁরা আরও জানিয়েছেন আন্তঃনাক্ষত্রিক দূত বা এলিয়ানরাই জীবনে প্রমাণ দিতে এগুলি পাঠাতে পারে। সম্ভাব্যভাবে আন্তঃনাক্ষত্রিক উল্কাগুলি অন্য গ্রহের সিস্টেম থেকে প্রাণের সরবরাহ করতে পারে। প্যানম্পার্মিয়াকে মধ্যস্ততা করতে পারে।
তাঁরা আরও বলেছেন যে ওউমুয়ামুয়া একটি বহিরাগত গ্রহাণু না হয়ে এলিয়ান প্রযুক্তির একটি রূপও হতে পারে। যাইহোক এটি জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে গবেষক সিরাজ জানিয়েছেন সমুদ্রে থেকে ২০১৪ সালের উল্কাপিণ্ডটির কোনও টুকরো উদ্ধার করা যায় কিনা তা দেখার জন্য একটি অভিযান পরিচলনা করতে চান। সেই উল্কাপিণ্ডটির টুকরো হাতে পেলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে সেটি এলিয়ানরা পাঠিয়েছিল।
দ্যা ইন্ডিপেনডেন্টের মতে সর্বশেষ তিন বছর আগে এক্সট্রোসোলার দর্শকদের প্রথম নিশ্চিত আবিষ্কারের তারিখকে পিছিয়ে দেয়। ২০১৭ সালে আবিষ্কৃত ওউমুয়ামুয়া নামে পরিচিত বিশ্বের বিখ্যাত আন্তঃনাক্ষত্রিক বস্তু। এর আগে এজাতীয় বস্তু গুলি নিয়েও গবেষণা চলছে।
ভিনগ্রহীর সঙ্গে যৌন মিলনে গর্ভাবতী মহিলা, সামনে এল অবাক করা মার্কিন প্রতিরক্ষার নথি
দ্বিতীয় পৃথিবীর খোঁজে চিন, 2.0 Earth মিশনের লক্ষ্য বাসযোগ্য আরও একটি বিশ্ব খুঁজে বার করা
কার দিয়ে তাকিয়ে অমন মিষ্টি হাসি সলমন খানের, জলদি বিয়ে করার পরামর্শ অনুগামীদের