চিন থেকেই বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস
খুব সহজেই সংক্রমণ রুখে দিতে পারত চিন
চিন নিজের দেশে সংক্রমণ রুখে দিয়েছিল
অভিযোগ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সহজেই বিশ্বকে রক্ষা করতে পারত চিন। কিন্তু চিন ইচ্ছে করেই তা করেনি। করোনাভাইরাসেরর সংক্রমণ লক্ষাধিক মার্কিন নাগরিক ও বিশ্বে কয়েক লক্ষ মানুষের মৃত্যুর পর আবারও চিনের ওপর বিরক্ত প্রকাশ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন এটি চিন থেকেই এসেছিল। কিন্তু এই মারাত্মক ছোঁয়াচে ভাইরাসটিকে কিছুতেই ছড়িয়ে পড়তে দেওয়া ঠিক হয়নি। ছড়ানোর আগেই এটি রুখে দেওয়া উচিৎ ছিল। চিনারা ভাইরাসটির সংক্রমণ সহজে রুখে দিতে সক্ষম হলেও তা করেনি বলেই অভিযোগ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এটাই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে চিনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিশ্বব্যাপী গণহত্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে ট্রাম্প চিনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন।
এই বিষেয় মার্কিন প্রশাসন আগামী দিনেও সরব হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। পাশাপাশি বলেন চিনারা ইচ্ছে করেই জীবাণুটিকে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে বাধা দেয়নি। কিন্তু চিনকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচিয়েছে। চিনে সংক্রমণ প্রবল আকার ধারণ করেনি। কিন্তু ইউরোপ বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা জীবানু ছড়িয়ে পড়তে কোনও বাধাই দেয়নি চিন। সংক্রমণ রুখে দেওয়া উচিৎ ছিল চিনের। এই বিষয় তারা একদমই স্বচ্ছ ছিল না বলেও অভিযোগ করেন ট্রাম্প।
মহামারী নিয়ে ইতিমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়ের ম্যাক্রঁ ও ইজিপ্টের প্রসেডিন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন। মরামারী প্রতিহত করতে বিশ্বের আরও বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন। সকলে মিলে যৌথ উদ্যোগে কাজ করা হবে বলেও দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বর্তমান বিশ্বে করোনাভাইরাস একটি বড় সমস্যা। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকটি দেশকে ভেন্টিলেটর দিয়ে সাহায্য করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন চিনের জন্যই বিশ্বব্যাপী এই সমস্যা তৈরি হয়েছে তা বিশ্বের সব মানুষকেই বুঝতে হবে। চিনের জন্যই অধিকাংশ দেশ জাহান্নমে যেতে বসেছে।
আগামী সপ্তাহ বা তারই পরে এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির বিষয়ও রীতিমত আশাবাদী। তিনি বলেন বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে যারা প্রতিষেধক তৈরিতে অনেকটাই এগিয়ে গেছে।
অন্যদিকে সোমবারই মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ঘোষণা করেছে যে মাইক পম্পেয় বরিস জনসনের সঙ্গে দেখা করবেন। আর বিদেশ সচিব ডোমিনিক করোনাভাইরাসের বিশ্বব্যাপী প্রভাব নিয়ে আলোচনা করবেন।সেখানে চিন সম্পর্কিত সমস্যাগুলি নিয়েও আলোচনা হবে।