মার্কিন সেনেটে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত, যাবতীয় অভিযোগ থেকে মুক্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প

ইমপিচমেন্ট-এর অভিযোগ থেকে মুক্ত হলেন ট্রাম্প।

র্কিন ইতিহাসে তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হিসাবে পদচ্যুতির মুখ থেকে ফিরলেন তিনি।

সেনেটে বিচারের শেষে ভোটচের মাধ্যমে তাঁকে দোষী নন বলে ঘোষণা করল।

কিন্তু বিচারের সততা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

 

বুধবার, মার্কিন সেনেটে ইমপিচমেন্ট-এর যাবতীয় অভিযোগ থেকে মুক্ত হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার ইতিহাসে তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হিসাবে পদচ্যুত হওয়ার মুখ থেকে ফিরে এলেন তিনি। ফলে যে বিচার নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গিয়েছিল, সেই মামলার পরিসমাপ্তি ঘটল এখানেই। ট্রাম্পেরও আসন্ন প্রেোসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আর বাধা রইল না।

প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের সভাপতিত্বে মার্কিন সেনেটররা 'নিরপেক্ষ বিচার' করার শপথ নিয়েছিলেন। কিন্তু, ট্রাম্প 'দোষী' না 'দোষী নন' এই প্রশ্নে প্রায় সকলেই দলীয় লাইন মেনেই ভোট দেন। মার্কিন সেনেটে রিপাবলিকান অর্থাৎ ট্রাম্পের দলের সদস্য সংখ্যাই বেশি। তাই শেষ পর্যন্ত মার্কিন প্রধান বিচারপতি রবার্টস ঘোষণা করেন ট্রাম্প-ই প্রেসিডেন্টের চেয়ারে 'থাকবেন এবং তিনি সব অভিযোগ থেকে মুক্ত হলেন'।

Latest Videos

এর আগে গত মাসে মার্কিন কংগ্রেসে ডোনাল্ড ট্রাম্প-কে ইমপিচড করার প্রস্তাব উঠেছিল। কংগ্রেসে দলে ভারি ডেমোক্র্যাটসদের ভোটে কংগ্রেস তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সাপেক্ষে সেনেটে শুনানির সিদ্ধান্ত নেয়। তবে সেনেট যে এই সিদ্ধান্তই নিতে চলেছে, তা সকলেরই জানা ছিল। ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছিলেন তিনি বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস থেকে 'ইমপিচমেন্টের ভুয়ো মামলা'য় তাঁর 'দেশের' জয় নিয়ে কথা বলবেন। এমনকী, এই মামলা-কে তিনি আসন্ন নির্বাচনে তাঁর পুনর্নির্বাচনের 'রাজনৈতিক সঙ্গীত' হিসাবেও বর্ণনা করেছেন।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ ছিল - প্রথমত, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। দ্বিতীয়ত, কংগ্রেসের কাজে বাধা দেওয়া। প্রথম অভিযোগ খারিজ হয় ৫২-৪৮ ভোটে, আর দ্বিতীয় অভিযোগ খারিজ হয় ৫৩-৪৭ ভোটে। শুধুমাত্র একজন রিপাবলিকান সদস্য, উটা-র  সেনেটর মিট রমনি, দলের লাইন মানেননি। ২০১২ সালের রাষ্ট্রপতি মনোনয়নে  তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন। প্রথম অভিযোগে তিনি ট্রাম্প-কে দোষী সাব্যস্ত করেন, কিন্তু, দ্বিতীয় অভিযোগে তিনিও ট্রাম্প-কে খালাস দেওয়ার পক্ষেই ভোট দেন।

মার্কিন ইতিহাসে ট্রাম্পের আগে আরও তিন প্রেসিডেন্টকে সেনেটে ইমপিচমেন্ট বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। কিন্তু সেনেট এখনও পর্যন্ত কোনও প্রেসিডেন্টকেই পদ থেকে সরায়নি। ১৮৬৮ সালে অ্যান্ড্রু জনসন এবং ১৯৯৯ সালে বিল ক্লিনটন দুজনেই ইমপিচমেন্টের বিচার চলার সময় বিরোধী পক্ষের সমর্থন পেয়েছিলেন। আর আরেক প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন তাঁর নিজের দল থেকেই বিদ্রোহ আঁচ করে নিজেই পদত্যাগ করেছিলেন।

স্বাভাবিকভাবেই সেনেটের এই রায় নিয়ে ডেমোক্র্য়াটরা সন্তুষ্ট নন। তাদের নেতা চাক শুমার বলেছেন, সেনেটে যেভাবে মাত্র তিন সপ্তাহে দ্রুত বিচার হয়ে গেল এবং রিপাবলিকানরা সেনেটে সাক্ষ্য দিতে প্রত্যাখ্যান করল, তাতে প্রেসিডেন্টের এই অভিযোগ থেকে মুক্ত হওয়ার রায়ের পাশে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে যাবে।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

‘সরকারকে প্রশ্ন করলেই সরকার উলঙ্গ হয়ে যাবে!’ বক্তব্য রাখতে না দেওয়ায় বিস্ফোরক Sajal Ghosh
'মাননীয়া আপনার শাড়িতে দুর্নীতির কালো ছোপ ছোপ দাগ' মমতাকে (Mamata) এ কী বললেন অগ্নিমিত্রা ?
আজ রাজ্যে উপনির্বাচনের (By Election) রেজাল্ট আউট, সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগণনা (Vote Counting)
‘অনেকদিন পর কেষ্টদা ফিরেছে তাই একটু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে’ অদ্ভুত ব্যাখ্যা Satabdi-র! | Satabdi Roy News
Suvendu Adhikari Live: বিধানসভার বাইরে মুখোমুখি শুভেন্দু অধিকারী, দেখুন সরাসরি