সেনা সরালেও থামবে না চিনা আগ্রাসন, 'শাস্তিমূলক মূল্য চাপানো'র কথা বলল ট্রাম্প প্রশাসন

সোমবার থেকে সেনা প্রত্যাহার করা শুরু করেছে চিন

চিনের এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানালো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

কিন্তু তারপরেও চিনের বিরুদ্ধে সুর নরম করল না ট্রাম্প প্রশাসন

চিনা 'আগ্রাসন' বন্ধ করার জন্য 'শাস্তিমূলক মূল্য চাপানো'র কথা বলা হল

 

সোমবার থেকে পূর্ব লাদাখের ভারত-চিন সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করা শুরু করেছে চিন। চিনের এই শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফেরানোর প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানালেও তাদের বিরুদ্ধে সুর এতটুকু নরম করল না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসনের সাফ কথা দেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে, আঞ্চলিক প্রতিবেশী দেশগুলির উপর এবং সাইবার স্পেসে চিনা 'আগ্রাসন' বন্ধ করার একমাত্র উপায় হল বেজিংয়ের উপর 'শাস্তিমূলক মূল্য চাপানো'।

মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের এক মুখপাত্র সোমবার রাতে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত-চিন পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানই চায়। এর আগে চিনের সঙ্গে অন্যান্য অনেক রাষ্ট্রের দ্বন্দ্বের ক্ষেত্রে যেমনটা চেয়েছিল। কিন্তু মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মাইক পম্পেও-র মতে একই ঘটনা বারবার ঘটতে থাকলে তার মধ্য থেকে একটা নকশা পরিষ্কার হয়। সেই নকশা হল, দেশে ও বিদেশে বেজিং-এর আগ্রাসী আচরণ  ক্রমে বাড়ছে ।

Latest Videos

ওই মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, তাইওয়ান প্রণালী, চিনের শিনজিয়াং প্রদেশ, দক্ষিণ চিন সাগর, হিমালয় অঞ্চল, সাইবার স্পেস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি - সব জায়গাতেই চিনা কমিউনিস্ট পার্টি দমন করতে চাইছে বলে মনে করছে ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের মতে চিন নিজের দেশের লোকদের দমিয়ে রাখার পাশাপাশি এখন প্রতিবেশীদের উপরও দাদাগিরি করতে চাইছে। আর তা রুখতেই দরকার 'শাস্তিমূলক মূল্য'?

কী সেই শাস্তিমূলক মূল্য? ভারত যে সম্প্রতি ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে, তার কথা বলল ট্রাম্প প্রশাসন? নাকি আরও বড় কোনও পদক্ষেপের কথা তাদের মাথায় ঘুরছে? মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র তা ব্যাখ্যা করেননি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে চিনের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। হংকংয়ে নতুন চিনা জাতীয় নিরাপত্তা আইন জারি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আনার বিষয়ে চিনের বিরুদ্ধে তারা আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। উইঘুর মুসলমানদের দমন করার অভিযোগে চিনা কর্মকর্তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আইনের বিলে স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প।

ভারত-চিন সীমান্ত দ্বন্দ্বের সাম্প্রতিক উত্তেজনায়, একেবারে শুরু থেকে নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরেছিলেন ট্রাম্প। গত ১৫ জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকায় পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪-র কাছে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান এবং অজ্ঞাতসংখ্যক চিন সেনার নিহত হওয়ার ঘটনার পরই চিনা আগ্রাসনের কড়া সমালোচনা করেছিল হোয়াইট হাউস। ট্রাম্প প্রশাসনের সর্বস্তর থেকে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছিল।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

Suvendu Adhikari Live: বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে মহা মিছিল শুভেন্দুর, দেখুন সরাসরি
'রোহিঙ্গারা মমতার ভোট ব্যাঙ্ক তাই তিনি বিএসএফকে জমি দিচ্ছে না' বিস্ফোরক মন্তব্য অগ্নিমিত্রার
Live: সাংবাদিক সম্মেলনে শমীক ভট্টাচার্য, কী বললেন তিনি, দেখুন সরাসরি
Narendra Modi Live: আদিবাসী গর্ব দিবস পালনে মোদী, কী বার্তা, দেখুন সরাসরি
বাজার থেকে ফেরার পথেই ঘটলো অঘটন! আতঙ্কের ছায়া শান্তিপুরে, দেখুন | Nadia News Today