হোয়াইট হাউসের প্রাক্তন উপদেষ্টা স্টিভ ব্যাননকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিন ম্যানহাটন ফেডারেল আদালতে পেশ করা হয় তাকে। তার বিরুদ্ধে কয়েক লক্ষ টাকা জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ফেডারেল প্রসিকিউটাররা অভিযোগ করেছেন যে অনলাইনে আমেরিকার দক্ষিণ সীমান্তে দেওয়াল তৈরির জন্য ২৫ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে। আর সেই তহবিলের টাকাই ব্যানন ও তার তিন সঙ্গী তছরুপ করেছেন। তবে এখনও ব্যাননের তরফ থেকে কিছুই জানান হয়নি। ক্ষমতায় আসার আগেই ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন মেক্সিকো সীমান্ত তৈরি হবে দেওয়াল। আর সেই কারণেই শুরু হয়েছিল অর্থসংগ্রহ।
প্রসিকিউটারদের দাবি যদিও ব্যানন আগেই জানিয়েছিলেন নাকি আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অনুদানের অর্থের ১০০ শতাংশই পাঁচিল তৈরির কাজে খরচ করা হবে। কিন্তু অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন সম্পিলিতভাবেই তারা প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করেছে।
স্টিভ ব্যানন ও তার তিন সঙ্গেী ব্রায়ান কোলফেজ, অ্যান্ড্রু ব্যাদোলাতো ও তিমোথি শেরা অবৈধ পথ অবলম্বন করেছিল। নকল বিক্রেতাও তৈরি করা হয়েছিল খাতায় কলমে। ভারতীয় মুদ্রায় কয়েক লক্ষ টাকা চার জনে মিলে হাতিয়ে নিয়েছিল।
২০১৬ সাল থেকেই তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুগামী। আর ট্রাম্পের প্রচারের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য রক্ষণশীল বাইব্রার্ট নিউজের নেতৃত্বে পদ থেকে অবসর নিয়েছিল। পরবর্তীকালে ট্রাম্পের ঘনিষ্ট ব্যক্তি হিসেবেই উঠে এসেছিল ব্যাননের নাম। বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা ব্যাননকে শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী ও ডানপন্থী বর্ণবিদ্বেষী বলে সমালোচনা করেছেন।হোয়াইট হাউসের সঙ্গে ওয়েস্ট উইং দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ায় ট্রাম্প ব্যাননকে বাধ্য হয়েই সরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে 'উই বিল্ড দ্যা ওয়াল' প্রতারণাকাণ্ড সামনে আসায় ট্রাম্পের ওপর কিছুটা হলেও চাপ বাড়বে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।