করোনা নিরাময়ের সন্ধান দিল ১৪ বছরের ভারতীয়-মার্কিন কিশোরী, জিতে নিল ২৫,০০০ ডলারের পুরস্কার

করোনার প্রতিষেধক বিকাশের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল গবেষণা।

মাত্র ১৪ বছর বয়সেই কামাল দেখালো ভারতীয়-মার্কিন কিশোরী

করোনার স্পাইক প্রোটিন আবদ্ধ করার মতো সীসার যৌগ আবিষ্কার করল সে

এর জন্য জিতে নিল ২৫,০০০ ডলারের পুরস্কার

amartya lahiri | Published : Oct 19, 2020 9:00 AM IST / Updated: Oct 29 2020, 12:41 PM IST

প্রায় একবছর হতে চলল নতুন করোনভাইরাস মহামারি দাপিয়ে বেরাচ্ছে সারা বিশ্বে। এখনও তার কোনও টিকা বা প্রতিষেধক মেলেনি। যতদিন যাচ্ছে ততই টিকা বা প্রতিষেধকের আরও কাছাকাছি পৌছে যাচ্চেন বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা। এরমধ্যে, তাক লাগিয়ে দিল মাত্র ১৪ বছরের এক ভারতীয়-মার্কিন মেয়ে। টেক্সাসের আনিকা শেব্রোলু এমন এক অনু আবিষ্কার করেছে, যা থেকে করোনার প্রতিষেধক তৈরি করা যেতে পারে। আর এর জন্য সে ২০২০ সালের ৩এম ইয়ং সায়েন্টিস্ট চ্যালেঞ্জ জিতে ২৫,০০০ ডলার পুরস্কার পেল।

ক্লাস এইটের আনিকা শেব্রোলু ইন-সিলিকো পদ্ধতি ব্যবহার করে একটি নতুন সীসা যৌগের অণু আবিষ্কার করেছেন। এই অনু নতুন করোনাভাইরাস অর্থাৎ সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের 'স্পাইক প্রোটিন'-এর সঙ্গে আবদ্ধ হতে পারে। এই স্পাইক প্রোটিনের মাধ্যমেই মানব দেহে নিজেকে আটকে নেয় এই ভাইরাস। কাজেই স্পাইক প্রোটিনকে আবদ্ধ করতে পারলে, ভাইরাসটি মানবদেহের অভ্যন্তরে, শ্বাসনালীই হোক কিংবা ফুসফুস বা অন্য কোনও অঙ্গেই নিজেরকে আটকে রাখতে পারবে না। ফলে তার জারিজুরিও খতম হয়ে যাবে।  

আনিকা বলেছে, সে যে প্রথম থেকেই কোভিড-১৯'এর চিকিত্সার সন্ধানেই এই বিশেষ অনুটির খোঁজ করছিল তা নয়। মহামারী, ভাইরাস এবং ওষুধ নিয়ে গবেষণা করার সময় তার নিজেরই যে এরকম একটা মহামারির অভিজ্ঞতা হবে, সেটা সে ভাবেইনি। কিন্তু, কোভিড-১৯ মহামারির তীব্রতা দেখে সে তাঁর পরামর্শদাতা গবেষকের সহায়তায় তাঁর গবেষণাকে সার্স-কোভ-২'এর দিকেই তাঁর গবেষণার নিশানা ঘুরিয়ে দিয়েছিল। তাঁর মতে তাঁর আবিষ্কৃত সীসা যৌগটি করোনাভাইরাসের নিরাময় আবিষ্কারের লক্ষ্যে হওয়া গবেষণার সমুদ্রে এক বিন্দু জল বলা যেতে পরে।  কিন্তু, তাঁর ও অন্যান্য ভাইরাসবিদ এবং ওষুধ বিশেষজ্ঞদের গবেষণার বিন্দু দিয়েই খুব তাড়াতাড়ি সিন্ধু তৈরি হয়ে যাবে বলে আশা আনিকার। কারণ মহামারি কাটলে তবেই তো কয়েক বছর পর তার মেডিকেল গবেষক এবং অধ্যাপক হওয়ার আশা পূর্ণ হবে।

 

Share this article
click me!