মঙ্গলেও ছিল নোনা জলের হ্রদ, তথ্য দিয়ে দাবি নাসার

 

  • লালগ্রহ নিয়ে নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা
  • তেমনই এক গবেষণায় মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য
  • পৃথিবীর সঙ্গে মঙ্গলের মিল খুঁজে পেয়েছেন একদল বিজ্ঞানী
  • তাঁদের গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়

Asianet News Bangla | Published : Oct 20, 2019 1:06 PM IST / Updated: Oct 20 2019, 08:08 PM IST

মঙ্গল গ্রহে কি কখনও জলের অস্তিত্ব ছিল? নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। লালগ্রহ নিয়ে নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।  তেমনই এক গবেষণায় মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নাসার একদল বিজ্ঞানীর দাবি, পৃথিবীর মতো মঙ্গল গ্রহেও নোনা জলের হৃদ বা জলাশয় ছিল। কিন্তু প্রকৃতির বিবর্তনের সঙ্গে সেই জলাশয় শুকিয়ে গিয়েছে। 

সাধারণ মানুষ তো বটেই, মঙ্গলগ্রহ নিয়ে বিজ্ঞানীদেরও কৌতুহলের শেষ নেই। ২০১২ সালে মঙ্গলে কিউরিসিটি নামে এক ল্য়ান্ডরোভার পাঠায় মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা।  গত ছয় বছর ধরে লালগ্রহ সম্পর্কে নাসার বিজ্ঞানীদের লাগাতার তথ্য পাঠাচ্ছে ওই ল্যান্ডরোভারটি।  জানা দিয়েছে, মঙ্গল গ্রহের একটি নির্দিষ্ট পাথুরে এলাকা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।  আমেরিকা টেক্সাসের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলছেন, মঙ্গলের সেই পাথুরে জমিতেই নাকি আজ থেকে তিনশো বছর নোনা জলের  হ্রদ বা জলাশয় ছিল। পরবর্তীকালেমঙ্গলগ্রহেবায়ুস্তর যত পাতলা  হয়েছে, ততই ভৃ-পৃষ্ঠে বায়ুর চাপও তত কমেছে। ফলে  হ্রদের জলও বাষ্পীভূত হয়ে গিয়েছে। এখন আর সেই পাথুরে জমি দেখলে বোঝারও উপায় নেই, সেখানে একসময়ে  হ্রদ ছিল! 

মঙ্গলের পাথুরে জমিতে জলাশয় ছিল! এমন সিদ্ধান্তে কীভাবে পৌঁছলেন বিজ্ঞানীরা? এ বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। সেই গবেষণাপত্রের অন্যতম লেখক মারিয়ন নিচবের দাবি, লালগ্রহের পাথুর জমিতে সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করেই বহু বছর আগে সেখানে নোনা জলের  হ্রদ থাকার স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে।  এদিকে বিজ্ঞানীদের এই দাবি ফের নতুন করে মঙ্গল গ্রহে প্রাণের থাকার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা উসকে দিয়েছে।   

Share this article
click me!