১৩ বিলিয়ন বছর আগে বিগ ব্যাংয়ের পরে গঠিত মহাবিশ্বের প্রথম ছবি, নাসার টেলিস্কোপে ধরা দিল অজানা তথ্য

ছবিটি হাজার হাজার গ্যালাক্সিতে ভরা এবং এতে কিছু ক্ষীণ বস্তুও দেখা গেছে, যেগুলো নীল, কমলা এবং সাদা রঙের। সেই জিনিসগুলি পরীক্ষা করে দেখছে নাসা। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার, যে এই রকম ছবি আগে কখনও হাতে পায়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। 

Parna Sengupta | Published : Jul 12, 2022 5:54 AM IST

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা ১৩ বিলিয়ন বছর আগে বিগ ব্যাং-এর পর গঠিত মহাবিশ্বের প্রথম রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসে ব্রিফিংয়ের সময় এই ছবিটি প্রকাশ করেছেন। এই ছবিটি হাজার হাজার গ্যালাক্সিতে ভরা এবং এতে কিছু ক্ষীণ বস্তুও দেখা গেছে, যেগুলো নীল, কমলা এবং সাদা রঙের। সেই জিনিসগুলি পরীক্ষা করে দেখছে নাসা। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার, যে এই রকম ছবি আগে কখনও হাতে পায়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। 

নাসা নিজেদের বিবৃতিতে বলেছে "এই প্রথম ছবিটি প্রকাশ করা হয়েছে। ছবিটি ওয়েব বিজ্ঞান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক শুরুকে চিহ্নিত করে। এই ছবির মাধ্যমে মহাবিশ্বের অনেক অজানা ও অচেনা তথ্য সামনে চলে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।" NASA ছবিটি সম্পর্কে আরও বলেছে যে বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে শক্তিশালী স্পেস টেলিস্কোপের প্রথম ছবিগুলি ওয়েবকে পূর্ণ শক্তি কাজ করতে সাহায্য করবে। এর পাশাপাশি, নাসা জানিয়েছে যে তারা ইনফ্রারেড মহাবিশ্বকে প্রকাশ করার জন্য তার মিশন শুরু করতে প্রস্তুত। 

শুক্রবার নাসা জেমস ওয়েবের প্রথম পাঁচটি মহাজাগতিক লক্ষ্য প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে কারিনা নেবুলা, WASP-96b, সাউদার্ন রিং নেবুলা, স্টিফেন কুইন্টেট এবং SMACS-0723। এই লক্ষ্যগুলি তৈরি করেছে একটি আন্তর্জাতিক কমিটি। যার মধ্যে NASA, ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি, কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি এবং বাল্টিমোরের স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউটের সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

নাসার প্রশাসক বিল নেলসন বলেছেন, “আমরা ১৩ বিলিয়ন বছর পিছনে ফিরে তাকাচ্ছি। এই ক্ষুদ্র কণাগুলির একটিতে আপনি যে আলো দেখছেন তা ১৩ বিলিয়ন বছর ধরে মহাবিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটি বিগ ব্যাং থেকে মাত্র ৮০০ মিলিয়ন বছর ছোট। এটি এমন একটি দৃশ্য যা আমরা আগে কখনো দেখিনি।"

ছবিটি প্রকাশ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, "এটি একটি ঐতিহাসিক দিন কারণ বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ মহাবিশ্বের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্য়ায়ের সূচনা করেছে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সমগ্র বিশ্বের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।"

Read more Articles on
Share this article
click me!