কিছুতেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের সুনজরে আসতে পারছে না পাকিস্তান। 'পাকিস্তান বিশ্বের সবথেকে বিপজ্জনক দেশগুলির মধ্যে একটি।' একটি বিবৃতিতে এমনই মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যা পাকিস্তানকে উদ্দেশ্য করে করা মন্তব্যগুলির মধ্যে সবথেকে ভয়াবহ।
কিছুতেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের সুনজরে আসতে পারছে না পাকিস্তান। 'পাকিস্তান বিশ্বের সবথেকে বিপজ্জনক দেশগুলির মধ্যে একটি।' একটি বিবৃতিতে এমনই মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যা পাকিস্তানকে উদ্দেশ্য করে করা মন্তব্যগুলির মধ্যে সবথেকে ভয়াবহ। কিন্তু বাইডেন এখানেই ইতি টানেননি। কেন তিনি এজাতীয় মন্তব্য করেছেন তাঁরও ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন কোনও রকম সমন্বয় ছাড়াই পাকিস্তানের হাতে রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট লস এঞ্জেলেসে ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসনাল ক্যাম্পেইন কমিটির রিসেপশনে এই মন্তব্য করেছেন। পাশাপাশি পাকিস্তানকে পারমাণবিক শক্তিধর হওয়ার রাস্তা তৈরি করে দেওয়ার জন্য তিনি চিন ও রাশিয়া দুটিদেশকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তিরোস্কার করেন। এই অনুষ্ঠানে বাইডেন চিন ও রাশিয়ার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কথা বলছিলেন। সেই সময়ই তিনি পাকিস্তান প্রসঙ্গ তুলে আনেন। আর বলেন তিনি পাকিস্তানকে বিশ্বের সবথেকে বিপজ্জনক দেশ বলে মনে করেছেন।
বাইডেন বলেছেন, ' এমন একজন লোক (শি জিংপিং) তিনি বোঝেন তিনি কী চান তবে তার একটি বিশাল সমস্যা রয়েছে। আমরা কীভাবে এটি পরিচালনা করব? রাশিয়ায় যা ঘটছে তারসঙ্গে আমরা কীভাবে একটি পরিচালনা করব? এবং আমি যা মনে করি তা হল পারিস্তান সম্ভবত বিশ্বের সবথেকে বিপজ্জনক দেশগুলির মধ্যে একটি। কোনও রকম সমন্বয় ছাড়াই এই দেশের হাতে রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র। ' ডেমোক্র্যাট পার্টির অনুষ্ঠানে বাইডেনের তরফ থেকে এমনই একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছিল।
তবে বাইডেনের এই মন্তব্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সম্পর্ক উন্নতির চেষ্টায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেও মনে করছে। কারণ অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেছিলেন ২১ শতকের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে গতিশীল পরিবর্তনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে প্রচুর সুযোগ রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল প্রকাশের মাত্র দুই দিন পরে এজাতীয় মন্তব্য করেছেন বাইডেন। পাশাপাশি ৪৮ পাতার নিরাপত্তার কৌশল রিপোর্টেও পাকিস্তানের কোনও উল্লেখ নেই।
তবে বুধবার বাইডেন প্রশাসন কংগ্রেসের বাধ্যতামূলত মূল নীতির নথি প্রকাশ করেছে। যেখানে চিন ও রাশিয়া- দুটি দেশকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রীতিমত হুমকি হিসেবে দেখান হয়েছে। ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজিতে বলা হয়েছে যে চীন এবং রাশিয়া যারা এই বছরের শুরুতে "নো-লিমিট অংশীদারিত্ব" ঘোষণা করেছিল তারা ক্রমবর্ধমানভাবে একে অপরের সাথে একত্রিত হচ্ছে কিন্তু তারা যে চ্যালেঞ্জগুলি তৈরি করেছে তা আলাদা।
তিনি আরও বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রাশিয়া বিপজ্জনক। PRC র ওপর একটি স্থায়ী প্রতিযোগিতামূলক প্রান্ত বজায় রাখাকেই তিনি অগ্রাধিকার দেবেন। নথিতে বলা হয়েছে চিনের সঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলেস সবথেকে বেশি সমস্যা রয়েছে। যা ক্রমশই বাড়ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে আগামী দশ বছর ধরেই মার্কিন প্রতিপক্ষ থাকবে চিন। দুই দেশের প্রতিযোগিতা ক্রমশই বাড়বে।
মার্কিন নথিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রনীতির তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। ইউক্রেনের ওপর আগ্রাসনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন সরকারের ওপর রাশিয়া ছড়ি ঘোরাতে চেয়েছিল বলেও দাবি করা হয়েছে।
শি জিংপিং-এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চিনে, খাবার চেয়ে পড়েছে পোস্টার
'তুমি মিথ্যাবাদী, চোর', মার্কিন মুলুকে চরম হেনস্থা পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রীকে- দেখুন ভিডিও