মার্কিন নির্বাচনের একদিন আগেই কি ধ্বংস হবে পৃথিবী, আসন্ন বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করল নাসা

Published : Aug 24, 2020, 01:12 PM IST
মার্কিন নির্বাচনের একদিন আগেই কি ধ্বংস হবে পৃথিবী, আসন্ন বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করল নাসা

সংক্ষিপ্ত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে কিন্তু, তার আগেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে গোটা পৃথিবী সতর্ক করল মার্কিন মহাকাশ চর্চা কেন্দ্র নাসা ধেয়ে আসছে মহাজাগতিক বিপদ  

আগামী ৩ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার জোর প্রস্তুতি চলছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও একবার ক্ষমতায় ফিরবেন, নাকি জো বিডেন ওভাল অফিসে আসবেন নতুন প্রেসিডেন্ট হয়ে, সেই দিকেই এখন নজর মার্কিন নাগরিকদের সঙ্গে সঙ্গে গোটা বিশ্বেরও। কিন্তু, তার একদিন আগেই গোটা পৃথিবীটাই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করল মার্কিন মহাকাশ চর্চা কেন্দ্র নাসা। ধেয়ে আসছে মহাজাগতিক বিপদ।

নাসা জানিয়েছে ২ নভেম্বর একটি ছোট গ্রহাণু পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে। গ্রহাণুটির ব্যাস মাত্র ০.০০২ কিমি বা ৬.৫ ফুট। এটি পৃথিবী আছড়ে পড়ার সম্ভাবনাও মাত্র ০.৪১ শতাংশ। তবে তাতে বিপদের সম্ভাবনা কেটে যাচ্ছে তা নয়। নাসার বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, এসবই গবেষণাগারে বসে করা গণনা। মহাকাশে অনেকরকম শক্তি কাজ করে। তার অনেকটাই এখনও বিজ্ঞানীদের অজানা। কাজেই একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই এই ছোট আকারের গ্রহাণুটির আঘাতই ধ্বংসের মুখে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে মানব সভ্যতাকে।

নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই মহাজাগতিক প্রস্তরখণ্ডের সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই কয়েক লক্ষ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এমনকী পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনেও বড় প্রভাব পড়তে পারে। শুরু হতে পারে, একটি পারমাণবিক শৈত্য, যার ফলে গণ-বিলুপ্তি ঘটতে পারে মানব সভ্যতার। আর সবচেয়ে কম ক্ষতি হলেও ধ্বংস হয়ে যেতে পারে পুরো একটা মহাদেশ।

ক্যালিফোর্নিয়ার পালোমার অবজারভেটরি থেকে ২০১৮ সালে প্রথম এই গ্রহাণুটিকে সনাক্ত করা হয়েছিল। নাসা জানিয়েছে তারপর ১২.৯৬৮ দিন ধরে ২১ বার গ্রহাণুটির চলাফেরা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। তার ভিত্তিতে করা অঙ্কের হিসাবের জোরেই মার্কিন মহাকাশ সংস্থা মনে করছে গ্রহাণুটির সম্ভবত পৃথিবীতে আঘাত করবে না, খুব কাছ দিয়ে উড়ে যাবে। তবে তারা সতর্ক করেছে সেই সময় গ্রহাণুটির পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের অন্তত তিনটি সম্ভাবনা তৈরি হবে।

গত সপ্তাহান্তেই একটি এসইভি গাড়ি আকারের গ্রহাণু আমাদের গ্রহের খুব কাছ দিয়ে গিয়েছিল। নিয়ার আর্থ অবজেক্ট, অর্থাৎ যে মহাজাগতিক বস্তুগুলির পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের সম্ভাবনা তৈরি হয়, সেগুলির মধ্যে এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি এসে পড়েছিল, অথচ শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষ হয়নি। সবচেয়ে উদ্বেগের হল, এটি চলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত নাসা বা বিশ্বের অন্য কোনও জায়গার বিজ্ঞানীদের কাছেই এই গ্রহাণুটি সম্পর্কে কোনও তথ্য ছিল না।

এই গ্রহাণুটি সম্পর্কে প্রথম তথ্য দিয়েছিলেন আইআইটি-বম্বের দুই শিক্ষার্থী। পুনের বাসিন্দা কুনাল দেশমুখ এবং  হরিয়ানার কৃত্তি শর্মা বম্বে আইআইটি-তে গবেষণার পাশাপাশি নিয়ার আর্থ অ্যাস্ট্রয়েড বা পৃথিবীর কাছাকাছি আসা গ্রহাণুগুলির সন্ধানে বিষয়ে একটি গবেষণা প্রকল্পের সঙ্গেও যুক্ত। গ্রহাণুটি পৃথিবীর কাছ দিয়ে চলে যাওয়ার মাত্র কয়েক ঘন্টা পরেই তাঁরা সেটিকে আবিষ্কার করেছিলেন।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

হামাসকে জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করুক ভারত, ইজরায়েলের দাবি- নতুন বিপদ আসছে
অভিভাসন ইস্যুতে বিতর্কে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্স, ভ্যান্সের স্ত্রী-সন্তানকে ভারতে পাঠাবে আমেরিকা?