এটাই মনে হয় হওয়ার ছিল। মার্কিন নির্বাচনের ফল প্রকাশের প্রায় সপ্তাহখানের পরেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাছোড় মনোভাবের পর এবার রীতিমত রাস্তায় নামলেন তাঁর অনুগামী ও সমর্থকরা। শনিবার হোয়াইট হাউস সংলগ্ন রাস্তার দুধারে জমা হওয়ার হাজার হাজার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছে প্রচুর অনুগামী। তাঁরা আবাও ট্রাম্পের সমর্থনে গলাফাটাচ্ছিলেন। 'বেস্ট প্রেসিডেন্ট ফরএভার' 'ট্রাম্প ২০২০' 'কিপ আমেরিকা গ্রেট' এজাতীয় পোস্টার ছিল তাঁদের সঙ্গে। তাঁদের গলায় ছিল মোর ফোর ইয়ার্স বা উই ওয়ান্ট ট্রাম্পের মত স্লোগান। শনিবার হোয়াইট হাউসের থেকে বেরিয়ে ভিড়ের মধ্যে দিয়ে ধীরে ধীরে গাড়ি চালিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেইসময়ি ভক্তদের উদ্দেশ্যে হাত দেখিয়েছিলেন। যা জামায়েতে সামিল হওয়ার মানুষদের আরও উৎসাহিত করে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত সেই দাবি থেকে সরে আসেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যা তাঁর অনুগামীদের উৎসাহিত করেছে বলে মনে করছে মার্কিন প্রশাসন। আর সেই কারণেই পথে নেমে ভোট গণনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ট্রাম্প সংর্থকরা। গণনার আগে থেকে এজাতীয় ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করে ছিল মার্কিন প্রশাসন। আর সেই কারণেই উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল তাঁরা।
উল্লেখ্য শনিবারই নর্থ ক্যারোলিনা ও জর্জিয়ার ভোটের পুর্ণগণনা শেষ হয়েছে। আর সেই মত এখনও পর্যন্ত বাইডেনের ঝুলে রয়েছে ২০৬টি ইলেক্ট্রোলার কলেজের ভোট। ট্রাম্পের ঝুলিতে রয়েছে ২৩২টি ইলোকট্রোলার কলেজের ভোট। যদিও অনুগামীদের দাবি ভোটে জয়ী হয়েছেন ট্রাম্প। আর সেই কারণে হোয়াইট হাউসের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। করোনাভাইরাসে সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করেই জড়ো হয়েছেন বহু মার্কিনি। যা সংক্রমণের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
৩ নভেম্বর নির্বাতনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন হোয়াইট হাউস দখলের ম্যাজিক ফিগার ২৭০ ছুঁয়ে ফেলেছিলেন ট্রাম্পের আগেষ কিন্তু বাইডেনের জয়ের পাশাপাশি নিজের পরাজয় মানতে রাজি নন ট্রাম্প। গণনার সময় থেকেই ভোট গণনায় কারচুপির পাশাপাশি , গণনা বন্ধ করার দাবিও জানিয়েছিলেন। কিন্তু সবপরিকল্পয়া জল ঢিলে এখনও পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন। হোয়াইট হাউস দখল প্রায় নিশ্চিত করেছেন তিনি। কিন্তু ট্রাম্প এখনও হোয়াইট হাউসের দাবি থেকে সরে আসতে পারেননি। মার্কিন সূত্রের খবর সিনিয়র রিপাব্লিকান নেতারা ট্রাম্প ও তাঁর অনুগামীদের এই আচরণে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে তাঁরা মুখ খুলতে নারাজ। যদিও জর্জ ডাব্লুউ বুশমের মত নেতারা ইতিমধ্যেই বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।