ব্যারাকপুর আসনে জিতে প্রেস্টিজ ফাইটে জিতেছেন। ভাটপাড়া বিধানসভা উপনির্বাচনে নিজের ছেলেক জিতিয়ে এনে তৃণমূলকে দ্বিতীয় ধাক্কাটা দিয়েছিলেন। এবার ভাটপাড়া পুরসভাও তৃণমূলের হাত থেকে দখল করে নিলেন অর্জুন সিংহ।
ভাটপা়ড়া পুরসভায় মোট ৩৫টি ওয়ার্ড রয়েছে। এর মধ্যে একটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। অন্য একটি ওয়ার্ড রয়েছে সিপিএমের দখলে। বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পরেই ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান-সহ এগারোজন কাউন্সিলর অর্জুনের সঙ্গে বিজেপি-তে যোগ দেন। এর পরে আস্থাভোটে অবশ্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে তৃণমূল। ফলে ভাটপপাড়া পুরসভা শাসক দলের হাতেই ছিল।
কিন্তু ভোটের ফল প্রকাশ হওয়ার পরই ভাটপাড়া পুরসভার আরও একদল কাউন্সিলর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গেলেন। এ দিন ওই পুরসভার বারোজন কাউন্সিলর আনুষ্ঠানিকভাবে অর্জুন সিংহের উপস্থিতিতে বিজেপি-তে যোগ দেন। যোগদান পর্বের পরে অর্জুন বলেন, "আমরা জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে আস্থাভোট করানোর জন্য বলব। পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার মতো কাউন্সিলর আমাদের সঙ্গে আছেন। নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়ন দেখে উৎসাহিত হয়েই সবাই বিজেপি-তে আসতে চান। এখন ২৩জন এসেছেন, আস্থাভোটের আগে বাকিরাও চলে আসবেন।" অর্জুনের দাবি, ভাটপাড়া পুরসভায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। পুরসভা পরিচালনার দায়িত্ব হাতে পেলে তাঁরা শহরকে নতুন করে সাজিয়ে তুলবেন।
একদিকে যখন অর্জুন সিংহ ভাটপাড়া পুরসভা দখলের ঘুঁটি সাজাচ্ছেন তখন অন্যদিকে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার জন্য দিল্লিতে মুকুল রায়ের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন নৈহাটি, হালিশহর এবং কাঁচরাপাড়া পুরসভার অধিকাংশ কাউন্সিলর। ফলে ভাটপাড়া-সহ চারটি পুরসভা হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তৃণমূলের জন্য।