৫০০ মিটার অন্তর সিসিটিভি, ১০ হাজার ফুটের উপর বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা টানেল এখন 'অটল'

৫০০ মিটার অন্তর সিসিটিভি, ১০ হাজার ফুটের উপর বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা টানেল এখন 'অটল'

Published : Oct 02, 2020, 07:17 PM ISTUpdated : Oct 02, 2020, 08:51 PM IST
  • বিশ্বের বুকে এক নজর গড়েছে অটল টানেল 
  • অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোতে ভারতের নাম রয়েছে
  • কয়েক শ'বছর ধরে ভারতের বিভিন্ন স্থাপত্য ও কলা তাক লাগিয়েছে
  • অটল টানেলও এমনই এক নির্দশন হতে চলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে

দশ হাজার ফুট উচ্চতায় বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ টানেলের নাম এখন অটল টানেল। সন্দেহ নেই অটল টানেলের এমন তকমা তাকে বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রেও স্থান করে দেবে। এছাড়াও, অটল টানেলের রয়েছে আরও বৈশিষ্ট্য, যা একনজরে দেখে নেওয়া যাক-  অটল টানেলের দুই মুখ- একটা নর্থ পোর্টাল, অন্যটা সাউথ পোর্টাল। মানালি থেকে অটল টানেলে পৌঁছতে সাউথ পোর্টাল-এই আসতে হবে। মানালি থেকে সাউথ পোর্টালের দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। অটল টানেল অনেকটা অশ্বের ক্ষুরের আকৃতিতে তৈরি হয়েছে। 
অটল টানেলের দৈর্ঘ্য ৯.০২ কিলোমিটার। সুড়ঙ্গের ভিতরে দুই লেনের রাস্তা, এছাড়াও দুই দিকে রয়েছে ফুটপাত। সুড়ঙ্গের ভিতরে থাকা ফুটপাতগুলি একটা দিকে চওড়ায় ৮ মিটার, অন্যদিকে ১ মিটার। সুড়ঙ্গের ভিতরে গাড়ির সর্বোচ্চ গতি থাকবে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। টানেলে সারা দিনে ৩০০০ গাড়ি এবং ১৫০০ ট্রাক যাতায়াত করতে পারবে। সুড়ঙ্গের ভিতরে অক্সিজেনের মাত্রা-কে ঠিক রাখার জন্য সেমি-ট্রান্সভার্স প্রযুক্তি-কে কাজে লাগানো হয়েছে। এছাড়াও SCADA নিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হয়েছে সুড়ঙ্গের ভিতরে কোনও অগ্নিসংযোগ বা অন্য কোনও অপ্রীতিকর ঘটনাকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নিয়ন্ত্রণের জন্য। সুড়ঙ্গের ভিতরে প্রতি ১৫০ মিটার অন্তর টেলিফোন রাখা রয়েছে এমার্জেন্সি কলের জন্য। গোটা টানেল জুড়ে রয়েছে অগ্নিনির্বাপনের জন্য জলের পাইপ লাইন। অগ্নিনির্বাপনে পাইপলাইনের মাধ্যমে জল দেওয়ার জন্য প্রতি ৬০ মিটার অন্তর ফায়ার হাইড্র্যান্ট পাম্প বসানো হয়েছে। সুড়ঙ্গের ভিতরে প্রতি ২৫০ মিটার অন্তর রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। বাতাসের মান যাচাই-এর জন্য ১ কিলোমিটার অন্তর মনিটরিং যন্ত্র বসানো হয়েছে। ২৫ মিটার অন্তর ইভাকুয়েশন বা এক্সিট গেট রাখা হয়েছে। আগুনের সম্ভাবনাকে নজরদারি করার জন্য প্রতি ৫০ মিটার অন্তর ফায়ার রেটেড ড্যাম্পার বসানো হয়েছে। এছাড়াও প্রতি ৬০ মিটার অন্ত ক্যামেরাও বসানো হয়েছে সমস্ত কিছুকে নজরদারি করার জন্য। মূল টানেলের নিচে রয়েছে একটি ছোট্ট টানেল, যেখানে একটি মাত্র গাড়ি একটা সিঙ্গল লাইনে যাবে। এই ছোট টানেলটি তৈরি হয়েছে এমার্জেন্সি এক্সিটের জন্য। রোটাং পাসে এই এই টানেল তৈরির পরিকল্পনা স্বাধীনতার পর পর চিন্তায় আনা হলেও তা কার্যকর হতে শুরু করে নব্বই-এর দশক থেকে। ইউপিএ সরকারের দ্বিতীয় শাসনকালে এই ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয়েছিল। এরপর নানাভাবে এই কাজ আটকে থাকলেও অবশেষে ২০২০ সালে টানেলকে খুলে দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষের জন্য।

04:53বাংলায় বাবরি মসজিদ? ফুঁসছেন সাধ্বী ঋতম্বরা, বাগেশ্বর বাবা, দেবকিনন্দন ঠাকুর ও মৌলনা ইয়াসুব
05:46'ভারত বাবরের দেশ নয়', হুঙ্কার রামদেবের, পাল্টা তোপ তৃণমূলের শত্রুঘ্নর
07:19Babri Masjid Bengal : কেউ পক্ষে, কেউ সরব নিন্দায়! বঙ্গে বাবরি মসজিদ নিয়ে ফাটল খোদ মুসলিম সমাজেই!
11:06'ড্রামা করার জন্য অনেক জায়গা আছে' সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধীদের কড়া বার্তা মোদীর
04:36'আমাকে আঘাত করলে, সারা ভারত হিলিয়ে দেব' মমতার হুঁশিয়ারির পাল্টা জবাব বিজেপির!
04:0826/11 Mumbai : অভিশপ্ত মুম্বই হামলার ১৭ বছর পূর্ণ, কী বললেন উজ্জ্বল নিকম?
10:28'রামমন্দিরে না এলেও দূর থেকে ধ্বজা প্রণামেই পুণ্য' পতাকা উত্তোলন করে বার্তা মোদীর
32:35'৫০০ বছরের ক্ষত আজ সারল' রাম মন্দিরে ধ্বজা উত্তোলন করে মন্তব্য মোদীর
06:16BJP SIR : ২০০৫ বনাম ২০২৫, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ইস্যুতে মমতাকে আক্রমণে সুধাংশু ত্রিবেদী
10:10Tejas Crash : শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলেন তেজস-কে বাঁচাতে, চোখের জলে শেষ বিদায় শহিদ পাইলটকে