ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে সোমবার থেকেই ওড়িশা ও অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজও বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। রবিবার রাত থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়েছে আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া নিন্মচাপটি।
সোমবার ভারতের আবহাওয়া দফতরের প্রবীণ বিজ্ঞনী আর কে জেনামনি জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি বিশাখাপত্তনম ও পুরী থেকে প্রায় ৪৫০ ও ৫০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। তবে এটি উপকূলের কাছে এলেই শক্তি হারাবে। কারণ পশ্চিমী শুষ্ক বাতাস ঘূর্ণঝড়ে প্রবেশ করবে। ১১ মে উপকূলের কাছাকাছি আসার সময় এর তীব্রতা হ্রাস পাবে। এটি উড়িশা উপকূলও স্পর্শ করবে না। তবে এটি এখনও একটি মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়েছে। ১২ ঘণ্টায় ২১-২৫ কিলোমিটার গতিবেগে এগিয়ে আসছে। ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শক্তি হারিয়ে ফেলবে। আর সেইকারণে প্রাকৃতিক বিপর্যের সম্ভাবনা অনেকটাই কম। তবে উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী এথেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে উপকূলের সবথেকে কাছে আসবে, কিন্তু উপকূল স্পর্শ না করেই ফিরে যাবে ঘূর্ণিঝড় অশনি। রীতিমত খামখেয়ালী চরিত্র স্পষ্ট হয়েছে ঘূর্ণিঝড় অশনির। ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়েছে অশনি। মঙ্গলবার অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িশার কাছে ভারতের পূর্ব উপকূলের সবথেকে কাছাকাছি আসবে। কিন্তু সেখান থেকেই ঘূর্ণিঝড়টি ফিরে যাবে।