রাম জন্মভূমি বিতর্ক এখন এক ইতিহাস। আর এই ইতিহাসের হাত ধরে এখন যে বিষয়টি সামনে উঠে এসেছে তা হল রাম মন্দির। ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যা মামলায় চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করতেই রাম মন্দির তৈরির বিষয়টি পাকা হয়ে গিয়েছিল।
আদালতের রায়ের পরে ২০২০ সালের মার্চ মাসে রাম মন্দির নির্মাণের পাকাপাকিভাবে কাজ শুরু হয়েছিল। প্রথম অবস্থায় এই জমিকে মন্দির তৈরির উপযোগী করতে একাধিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়েছে। যেমন মন্দিরের নির্মাণের মধ্যে থাকা জমিকে ১৫ ফুট গভীর গর্ত করে কাটা হয়েছিল। এই ১৫ ফুট গর্ত থেকে যা মাটি বেরিয়েছিল তা সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। এরপরই সেই গর্তকে ইঞ্জিনিয়ার্ড সয়েল দিয়ে ভর্তি করা হয়। এশিয়ানেট নিউজের রাজেশ কালরার সঙ্গে কথোপকথনে এই বিষয়গুলোকে সামনে এনেছেন রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র, যিনি একজন আইএএস-তো বটেই, সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের মুখ্য সচিবের দায়িত্বভারও সামলিয়েছেন। আলাপচারিতায় নৃপেন্দ্র জানিয়েছেন কীভাবে নানা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়েছে তাদের। এরমধ্যে শিয়রে সমন হয়ে দাঁড়িয়েছিল করোনা অতিমারি এবং লকডাউন। সেখান থেকেও তারা প্রাণপনে কাজ করে গিয়েছেন। মন্দিরের ভিত এই মুহূর্তে পুরোপুরি তৈরি। এবার এক এক করে নকশা মেনে কাজ হবে। যেভাবে কাজ চলছে তাতে ২০২৩-এর মধ্যে রামমন্দিরের গর্ভগৃহ তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলেই আশা করছেন নৃপেন্দ্র মিশ্র। এই এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে এমনই সব চমকপ্রদ তথ্য এবং মন্দির নির্মাণের নানা স্থাপত্য কৌশলের গল্প।