গত কয়েকদিনে আলোচনার কেন্দ্রে কেরলের (Kerala) বিতর্কিত রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান (Arif Mohammad Khan)। একসময় মুসলিম পার্সোনাল ল (Muslim Personal Law) বিলের প্রতিবাদ করে জাতীয় কংগ্রেস (Congress) ছেড়েছিলেন তিনি। তারপর বিজেপিতে (BJP) ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে হিজাব বিতর্ক (Hijab Controversy) থেকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Law) লাগুর মতো বিষয় নিয়ে মুখ খুলে, রাজনৈতিক মহলের চর্চায় আছেন এই নেতা।
হিজাবকে নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অনাবশ্যক। এর পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। নতুন ভারতের স্কুলে, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ করে মেয়েরা দারুণ পারফর্ম করছে। অন্যান্য সম্প্রদায়ের মতো মুসলিম মেয়েদের পারফর্ম্যান্সও খুব ভালো। একটা ক্ষুদ্র অংশের মানুষ রয়েছে, যারা এর আগে তিন তালাক প্রথা চালু রাখতে চেয়েছিল। এই অবস্থায় তারা স্কুল-কলেজে সফল মুসলিম মেয়েদের সম্পর্কে প্রচার করছে, যে যারা স্কুল-কলেজে যায় তারা মুসলিম সম্প্রদায়ে জন্য, ধর্মের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। হিজাবকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি করে তারা, মুসলিম মেয়েদের শিক্ষার অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। এতে করে তাদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনার ক্ষতি হবে। এতে মুসলিম মেয়েদের পড়াশোনা করার উৎসাহও কমে যাবে। ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যেই তারা বন্দি হয়ে যাবে। আজ মেয়েরা যুদ্ধবিমান চালাচ্ছে। সব ধরণের পেশায় নিযুক্ত হচ্ছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তারা পুরুষদের থেকে বেশি ভাল কাজ করছে। তাই এই অপ্রয়োজনীয় বিতর্কের অবসান ঘটানো উচিত। আক মেয়েদের, তাদের পড়াশোনার উপর ফোকাস করতে, পড়াশোনায় মন দিতে বলা উচিত। নিজের এবং দেশের উন্নতির একটাই রাস্তা, ভাল করে শিক্ষা গ্রহণ করা এবং তার ফলে যে ক্ষমতা তৈরি হয়, দেশের জন্য সেই ক্ষমতার ব্যবহার করা।